খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানিতে কোনো ধরনের অনিয়ম, অতিরিক্ত দাম বা বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হয়নি। মন্ত্রণালয় আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সম্প্রতি এক জাতীয় দৈনিকে ‘চুক্তির কারণে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের গম কিনছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যা বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করেছে।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় সরকার থেকে সরকার (জি-টু-জি) পদ্ধতিতে গম আমদানি করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম প্রতি টন ৩০২.৭৫ মার্কিন ডলারে আমদানির চুক্তি হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে একই পরিমাণ গম প্রতি টন ৩০৮ ডলারে কেনার চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের গমের মূল্যের সঙ্গে রাশিয়ার গমের মূল্য তুলনা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ত্রুটিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর। যুক্তরাষ্ট্রের গমের দামে চট্টগ্রাম ও মোংলা সাইলো পর্যন্ত পরিবহন, বীমা, আনলোডিং ও বন্দরভিত্তিক খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে, কিন্তু রাশিয়ার মূল্যে কেবল দেশটির বন্দর পর্যন্ত খরচ হিসাব করা হয়।
বাস্তব তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাশিয়ার গমের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য প্রতি টন প্রায় ২৩২ মার্কিন ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম প্রায় ২৩৪ মার্কিন ডলার, অর্থাৎ পার্থক্য মাত্র ২-৩ ডলার। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের গমের মান রাশিয়ার তুলনায় উন্নত। রাশিয়ার গমে গড়ে ১১ শতাংশ প্রোটিন থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের গমে প্রোটিনের পরিমাণ ১৩.৫ শতাংশ, যা পুষ্টিগুণ এবং মানের দিক থেকে উন্নত।
খাদ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে জি-টু-জি পদ্ধতিতে গম আমদানির পুরো প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, প্রতিযোগিতামূলক এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে সম্পন্ন হয়েছে।
সিএ/এমআর
সূত্র : বাসস


