আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ.এম.এম. নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন দেশের জনগণকে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে বরিশালে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় সিইসি এ কথা বলেন। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন সব ধরনের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করছে।
সিইসি জানান, দায়িত্ব গ্রহণের সময় তিনি শপথ নিয়েছিলেন দেশের জনগণের কাছে একটি অনুকরণীয় নির্বাচন উপহার দেওয়ার। সেই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন নিরলসভাবে কাজ করছে। এ সময় তিনি নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান— তারা যেন নিজেদের অবস্থান থেকে নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করেন।
বরিশাল সফরে সিইসি প্রথমে আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে বিভাগের নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং পরে বিকেলে সার্কিট হাউজে পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। সরকারও জানিয়েছে, তাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেই সুযোগ নেই। আমরা কোনো গোয়েন্দা সংস্থা বা বাহ্যিক চাপের মুখে নত হবো না। দেশের মানুষকে একটি গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেব।”
তিনি আরও বলেন, “এর আগে যেভাবে কিছু নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, এবার সেই সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কাজ করছে এবং কারও কাছে নতি স্বীকার করবে না।”
সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছারসহ প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিএ/এমআর