সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে। মামলাটি রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা হয়েছিল। গতকাল বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) শফিকুল ইসলাম জানান, উত্তরা পশ্চিম থানার মামলায় আনিস আলমগীরসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক মুনিরুজ্জামান এ রিমান্ড আবেদন করেন। এর আগে রবিবার রাতে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে আনিস আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়।
রবিবার রাতেই সাংবাদিক আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে উত্তরা পশ্চিম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগটি করেন জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্সের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ। অভিযোগে আরও দুজনের নাম রয়েছে—মডেল মারিয়া কিশপট্ট ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।
সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় সম্পাদক পরিষদ নিন্দা জানিয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি নূরুল কবীর ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া তাকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে আনা, আটকে রাখা এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই ধরনের আচরণ অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলের সময়ে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে দেয়। অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও নির্বিচার গ্রেপ্তার সাধারণ ঘটনা ছিল। বর্তমান ঘটনাটি সেই দুঃখজনক বাস্তবতার পুনরাবৃত্তি বলে তারা মনে করছে।
সিএ/এএ


