মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণে অপরাধের গুরুতরতা স্পষ্ট, তাই সর্বোচ্চ সাজাই ন্যায়সঙ্গত হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা আদালতের কাছে সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করেছি। এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে ন্যূনতম শাস্তি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যথেষ্ট নয়। আদালত নিশ্চয়ই সব দিক বিবেচনা করে রায় দেবেন। তবে আমাদের পক্ষ থেকে আবেদন, এই অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হোক।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংগঠিত ঘটনাগুলো বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বিভীষিকাময় অধ্যায়। আমরা আদালতে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য ও প্রমাণ পেশ করেছি, যা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগকে শক্তিশালী করেছে। এই অপরাধগুলো শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, যা কোনোভাবেই ক্ষমাযোগ্য নয়।”
চিফ প্রসিকিউটর জানান, প্রসিকিউশন টিম দীর্ঘ তদন্ত, সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে পরিচালনা করেছে। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, আদালত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উদাহরণ সৃষ্টি করবেন। এই মামলার রায় শুধু একটি ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, বরং ন্যায় ও মানবতার বিজয় হিসেবে বিবেচিত হবে।”
এর আগে, এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ আগামী ১৭ নভেম্বর (সোমবার) নির্ধারণ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ দিন নির্ধারণ করেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এই মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম ও ফারুক আহাম্মদসহ অন্যান্য আইনজীবীরা।
সিএ/এমআরএফ


