টানা তিন দিন ধরে নিকলী উপজেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকালে হাওর–অধ্যুষিত এই এলাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সোমবার সকালে নিকলীতে তাপমাত্রা নেমে ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রোববার সকালে নেমে আসে ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার ও সোমবারের তুলনায় শীতের তীব্রতা সামান্য কমলেও জেলার ওপর দিয়ে এখনো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চলতি মাসজুড়ে শীতের প্রভাব অব্যাহত থাকতে পারে এবং শীতের অনুভূতি কমার তেমন সম্ভাবনা নেই।
শীতের এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। এছাড়া জেলার হাওরাঞ্চলে বোরো ধান আবাদের মৌসুম চলায় কৃষকরাও বাড়তি দুর্ভোগে পড়েছেন।
নিকলী নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা আবেদ আলী (৭০) বলেন, ‘তিন দিন ধরে আমরার এহানে অনেক শীত। শীতের লাগে ঘরতে বাইর অইতে ফারিনা। বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়তাছে। কামকাজও যাইতে পারতেছি না। কষ্টে আছি।’
স্থানীয় শিক্ষক হেলাল উদ্দিন জানান, সকাল থেকে আকাশে সূর্যের দেখা নেই। কনকনে শীত মানুষের জীবনে জড়তা নিয়ে এসেছে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় নিম্ন আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হচ্ছেন। দৈনন্দিন কাজে যেতে না পারায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। এর প্রভাব পড়েছে বোরো ধানের আবাদেও। মৌসুমের শুরুতে অতিরিক্ত ঠান্ডায় ধানের চারা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।
নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আখতার ফারুক বলেন, ‘আজও সারা দেশের মধ্যে নিকলীতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে কিশোরগঞ্জে তাপমাত্রা কম। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা নিম্নমুখী। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে রোববার ও সোমবারের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও জেলার ওপর দিয়ে এখনো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।’
সিএ/এএ


