লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনে জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন করে কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জেলা আমির মো. আবু তাহেরকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া মো. হারুন অর রশীদসহ স্থানীয় জামায়াতের নেতারা।
জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির প্রধান মো. শাহ আলম জানান, সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাওলানা আবদুল হালিম লালমনিরহাট-৩ আসনে আবু তাহেরের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
এর আগে এই আসনে ছাত্রশিবির রংপুর মহানগর শাখার সাবেক সভাপতি হারুন অর রশীদকে মনোনয়ন দিয়েছিল দল। তিনি কয়েক মাস ধরে মাঠে গণসংযোগেও কাজ করছিলেন। তাঁর ছবি দিয়ে প্যানাফ্লেক্স, ডিজিটাল বিলবোর্ড ও ব্যানারও টাঙ্গানো হয়েছিল। তবে নতুন প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর এগুলো সরিয়ে ফেলতে দেখা গেছে।
বিষয়টি জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ জানান, “পারিবারিক সমস্যার কারণে দেড় মাস আগে স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রার্থী পরিবর্তনের আবেদন করেছিলাম।”
এদিকে নতুন মনোনীত প্রার্থী আবু তাহের বলেন,
“দল আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। নেতা–কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাব। ইতিবাচক ফলাফলের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।”
লালমনিরহাট-৩ আসনে ইতোমধ্যে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপি সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলু। এছাড়া গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা দীপক কুমার রায়সহ আরও কয়েকজন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। এ আসনে অতীতে জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের, সাবেক ডেপুটি স্পিকার রেয়াজ উদ্দিন আহমেদ এবং আওয়ামী লীগের আবুল হোসেন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, ‘কৌশলগত’ কারণেই জামায়াত শেষ মুহূর্তে প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও লালমনিরহাট-২ আসনের প্রার্থী ফিরোজ হায়দার লাভলু বলেন,
“জামায়াতে ইসলামী একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ রাজনৈতিক দল। দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে, তাঁর বিজয়ের জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন ও করবেন।”


