রাজশাহীতে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। নিহত সুমনের গলায় জোরপূর্বক চেপে ধরার চিহ্ন এবং এক পায়ের আঙুলে কাটা থাকা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমন বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকার ভাড়া বাসায় খুন হয়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সুমনকে ওড়না জাতীয় কিছু দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া তার হাঁটুর নিচে পায়ের আঙুলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে বলে ধারণা পাওয়া গেছে।
ঘটনার সময় বাড়িতে থাকা বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার হামলাকারীর ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। পুলিশ গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মদনেরপাড়া এলাকার লিমন মিয়াকে আটক করেছে। হামলাকারী লিমনের হাত, মাথা ও পায়ে জখম রয়েছে। আর তাসমিন নাহারের পেটে ও ঊরুতে ছুরি আঘাত পাওয়া গেছে। দুজনই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, লিমন একটি ব্যাগ নিয়ে বাসায় ঢুকে ডাইনিং টেবিলে বসে তাসমিন নাহারের সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে ব্যাগ থেকে ছুরি বের করলে তাসমিন নাহার দৌড়ে এক কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করেন। লিমন ১০-১৫টি লাথি মেরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ধস্তাধস্তি শুরু হলে পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে থাকা সুমনের ঘুম ভেঙে যায়। কাজের মেয়ের কাছ থেকে ঘটনা জানার পর সুমন লিমনকে আটকানোর চেষ্টা করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করছে পুলিশ। পরে কাজের মেয়ে চিৎকার করে আশপাশের লোকজনকে খবর দেন।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কুমার বিশ্বাস জানান, তাসমিন নাহারের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। লিমনের জ্ঞান ফেরার পর পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে হত্যার ধরন নিশ্চিত হবে।
সিএ/এমআরএফ


