গাজীপুরের টঙ্গীতে শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে একটি তুলার গুদামে ভয়াবহ আগুন লেগে তা আশেপাশের আরও কয়েকটি গুদানে ছড়িয়ে পড়েছিল। ঘটনায় টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস, উত্তরা এবং গাজীপুর মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের মোট ৮টি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর দুর্ঘটনাস্থলে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও চূড়ান্তভাবে জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল দুপুর ১২টার দিকে টঙ্গী স্টেশন রোডের মিলগেট এলাকায় একটি বড় তুলার গুদামে। আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে তা আশেপাশের সাতটি গুদানেও ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা দ্রুত জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করেন। খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করে।
পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় পরে উত্তরা ও গাজীপুর মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের আরও চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যোগ দেয়। ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, “আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় আমাদের ইউনিটগুলো অব্যাহতভাবে কাজ করে। দেড় ঘণ্টার চেষ্টার পর শেষ পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।”
ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনাস্থলে পানি সংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়। তিনি বলেন, “যথাযথ পানি সরবরাহ ছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণ করা আরও কঠিন হয়ে যেত। তাছাড়া এ ধরনের বড় গুদামে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। তবে আমাদের ইউনিটগুলো পরিস্থিতি সামলাতে সক্ষম হয়েছে।”
এ ঘটনায় আশেপাশের ৭টি গুদান পুড়ে গেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, আগুনের কারণে তারা প্রাথমিকভাবে উল্লেখযোগ্য ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন। তবে পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা এখনও বাকি আছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয় ও ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্ত শুরু করা হবে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সময় স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সাহায্যও করেন। অনেকেই পাশের সড়ক থেকে পানি এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। দুর্ঘটনাস্থল ঘিরে আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, তবে ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত পদক্ষেপে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।
সিএ/এমআরএফ


