রাজধানীর মোহাম্মদপুরে লায়লা আফরোজ ও তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে হত্যার ঘটনায় নবনিযুক্ত গৃহকর্মী আয়েশাকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছেন নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম। সোমবার দিবাগত রাতে মোহাম্মদপুর থানায় তিনি এ মামলা করেন।
আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদপুর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন বলেন, মামলার পর থেকেই আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
এজাহারে যা লেখা আছে
এজাহারে আজিজুল ইসলাম উল্লেখ করেন, তিনি পেশায় শিক্ষক এবং শাহজাহান রোডের একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রী–সন্তানসহ বসবাস করেন। চার দিন আগে আয়েশা নামে ওই নারী খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে তাদের বাসায় কাজ শুরু করেন।
সোমবার সকাল ৭টার দিকে তিনি কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর স্ত্রীকে ফোনে একাধিকবার কল দিলেও যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। পরে বেলা ১১টার দিকে বাসায় ফিরে দেখেন—
স্ত্রী লায়লা আফরোজের গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর কাটা জখমসহ রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে রয়েছে।
মেয়ে নাফিসা লাওয়াল গলার ডান পাশে কাটা অবস্থায় মেইন গেটের কাছে পড়ে আছে।
স্থানীয় পরিচ্ছন্নকর্মী আশিকের সহায়তায় নাফিসাকে দ্রুত সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখা যায়
এজাহারে বলা হয়েছে, বাসার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়—
গৃহকর্মী আয়েশা সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে বাসায় প্রবেশ করে।
সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে তিনি বের হয়ে যান।
বের হওয়ার সময় তিনি মেয়ের মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যান।
আজিজুল ইসলাম দাবি করেন, ওই সময়ের মধ্যেই আয়েশা অজ্ঞাত কারণে তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেছেন।
সিএ/এএ


