জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। বিষয়টি নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৬টার দিকে পল্টন থানার ডিউটি অফিসার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় এখনো থানায় কেউ মামলা দায়ের করেননি।
পল্টন থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রকিবুল হাসান বলেন, ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় মামলা না হলেও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যায়ে—ডিসি, এডিসি ও ওসি স্তরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও বৈঠক চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে থাকা দুই ব্যক্তি ওসমান হাদিকে অনুসরণ করে। একপর্যায়ে তাঁকে বহনকারী অটোরিকশার কাছে এসে মাথায় গুলি করে হামলাকারীরা। গুলিবর্ষণের পরপরই তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওসমান হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের পর তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, গুলির আঘাতে ওসমান হাদির মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হওয়ায় এখন কনজারভেটিভ চিকিৎসা পদ্ধতিতে তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁর কিডনির কার্যক্ষমতা কিছুটা ফিরে এলেও সামগ্রিকভাবে অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
সিএ/এএ


