বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) তিন শিক্ষককে বরখাস্ত ও পাঁচ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগের দিন অনুষ্ঠিত ৫৪৪তম সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।
বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার এবং ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী স্থায়ী বহিষ্কার–সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পরবর্তী তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ওপর নির্ভর করবে। তার আগ পর্যন্ত তারা বরখাস্ত থাকবেন।
অন্যদিকে পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনকে স্থায়ীভাবে, দুইজনের ছাত্রত্ব বাতিল এবং দুই শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহা. মাঈন উদ্দীন জানান, ড. অনীক কৃষ্ণ কর্মকারের বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপসহ সব সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটের অনুমোদন অনুযায়ী কার্যকর করা হয়েছে।
গত ১১ মে ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. হেদায়েত উল্লাহর কক্ষে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে একই বিভাগের ২০১৮–১৯ শিক্ষাবর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদা আদায়ের প্রমাণ পাওয়ায় সিরাজুল ইসলাম সুমন এবং আইন বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিবকেও স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সার্টিফিকেটও বাতিল করা হবে।
এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আতাউল্লাহ ও সাজ্জাদ হোসেন সজীবকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।


