মোঃ ফাহিম আহম্মেদ রিয়াদ – (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
গতকাল সন্ধ্যয় কাহালু উপজেলায় কালো মেঘে ঢেকে যায় পুরো আকাশ, কিছুক্ষণপর শুরু হয় মুসুলধারে শিলাবৃষ্টি ও ব্যপক ঝড়। টানা শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে বোরো ধান, বসত-বাড়ি সহ বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান খান বদের জানান, তার ইউনিয়নের প্রতাপপুর, লোকনাথপাড়া, আড়োবাড়ী, ফকিরপাড়া, পুইয়াগাড়ী, আটাশি এলাকায় ঝড়ে ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।
সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে বিভিন্ন গ্রামের বসত-বাড়ির ছাউনীর টিনের। সরোজমিনে দেখা গেছে অধিকাংশ বসত-বাড়ির ছাউনীর টিন শিলাবৃষ্টিতে ফুটো হয়ে এক প্রকার ঝাঁঝড়া হয়ে গেছে। এদিকে শিলা বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে অধিকাংশ জমির ধান শুয়ে পড়েছে, কিছু জমির পাকা ধান ঝড়ে গেছে।
ঝড়ে গেছে গাছের আমও। কোথাও কোথাও ভেঙ্গে গেছে গাছের ডালপালা। গাছ পরে ও খুটি ভেঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুর্গাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ছাড়াও কাহালু সদর ইউনিয়ন ও পৌর সদরে ঝড়ে ও শিলাবৃষ্টিতে অনেক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি পৌর কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, তাদের এলাকায় বসত-বাড়ির পাশাপাশি বোরো ধানের অনেকটা ক্ষতি হয়েছে। তবে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আখেরুল ইসলাম জানান, শিলাবৃষ্টি হলেও ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি। ধান-চাল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জনে তেমন কোনো সমস্যাও হবেনা বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে ঝড়ের কারণে এ এলাকার মানুষ ২৪ঘন্টা বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। এতে করে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়ে। বিদ্যুতের কারণে মোবাইল নেটওয়ার্ক বিছিন্ন ছিল। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার কারণে পানি সংকটে পরে অনেকেই। বিদ্যুতের কারণে সাধারণ মানুষ আনুসাঙ্গিক বিপদে ছিলেন। আজ বিকেল ৪টার সময় বিদ্যুৎ ফিরে আসলে সাধারণ মানুষের মাঝে সস্তি ফিরে আসে।