আনন্দ শোভাযাত্রা, কেক কাটা, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনে পাবনায় উদযাপিত হচ্ছে বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি ও পাবনার মেয়ে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ৮৭ তম জন্মবার্ষিকী। জেলা প্রশাসন, সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র সংসদ, পাবনা ড্রামা সার্কেলসহ বিভিন্ন সংগঠন এ উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
শুক্রবার সকালে পাবনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বের হয় শোভাযাত্রা। শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে সুচিত্রা সেনের স্কুল সরকারি বালিকা বিদ্যাল্যয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন। বিকেলের অনুষ্ঠানে রয়েছে আলোচনা সভা ও সুচিত্রা সেনের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।
এদিকে, গোপালপুরের নিজ কার্যালয়ে কেক কাটা ও স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে মহানায়িকার জন্মদিন পালন করেছে সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র সংসদ। এ সময় বক্তব্য দেন, পাবনা সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি হাবিবুর রহমান স্বপন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মনি, পাবনা ড্রামা সার্কেলের সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান রাসেল, যুগ্ম সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা মহানায়িকার শৈশব কৈশোরের সাক্ষী পাবনার পৈতৃক বাড়িকে একটি পূর্ণাংঙ্গ ফিল্ম ইন্সটিটিউট হিসেবে গড়ে তোলার দাবি জানান। এছাড়া, সকালে পাবনা ড্রামা সার্কেলে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি ফারুক হোসেন চৌধূরী, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আওয়াল কবির জয়, নাট্যকার নির্দেশক দোলন আজিজ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বাংলা চলচ্চিত্রের অসংখ্য জনপ্রিয় ছবি উপহার দেয়া কালজয়ী এই মহানায়িকা ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনায় তার নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পাবনা পৌর এলাকার গোপালপুরের হেমসাগর লেনের বাড়িতে তার শৈশব ও কৈশোর কাটে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় সুচিত্রা সেন সপরিবারে ভারত চলে যান। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে পরলোকগমন করেন তিনি।