তাসনিমা জেরিন(ময়মনসিংহ)
ছেড়ে দে শয়তান ছেড়ে দে।অামারর চিকন বুদ্ধির সাথে তুই কখনো পারিস নি।অাজকেও পারবি না।হা হা হা হা হা
সোফায় বসে অামি অার zozo(অামার অাদরের বিড়াল) টম এন্ড জেরি দেখছি অার এসব বলে বলে লাফাচ্ছি। zozoটাও লাফাচ্ছে অার মিউ মিউ করছে।এমন সময় হঠাৎ দেখি অাম্মুর অাগমন।
হাতে একটা বড় চামচ।দেখে বুঝা যাচ্ছে রান্নাঘর থেকে অাসছে।পরক্ষণে অাবার অাপু অাসল।কিছুই বুঝলাম না।এই মহামানবী দুইজন অামার সামনে এভাবে স্টেচু হয়ে দাড়িয়ে অাছে কেন?? বিষয়টা এখনো অামার বোধগম্য হয় নি।তাদের তাকানোর স্টাইল পাল্টে যাচ্ছে।দুজনেই এখন রাগি ফোকাস করছে অামার উপর।দুই দুই চার।এদের চারটা চোখে যদি অাগুন থাকত তাহলে এতক্ষণে অামি সর্বোচ্চ তাপে পুড়ে বাষ্প থুক্কু ছাই হয়ে যেতাম।zozoটাও এখন অার লাফাচ্ছে না।অামার পাশে কুচকে বসেছে।
কিছু জিজ্ঞেস করতে যাব তখনি অাপু…
-তুই কি একটুও শান্তি দিবি না??
-কককককেন অাপু,কি করছি?
-কি শুরু করছস এগুলা।কার্টুন দেখে কেউ এভাবে লাফাইয়া লাফাইয়া চিল্লায়??
এতক্ষণে কাহিনীটা পরিষ্কার। এটা নতুন কিছু না।সবসময় এরকমই হয়।
-অারে কি যে কাহিনী হইছে তুমি তো জানই না।
-থাক অামার অার জানার দরকার নাই।যেমন তুই তেমন তোর বিলাই।
-এই যে।বিলাই না।ওর এবটা নাম অাছে।
-নিকচি করি তোর নামের।
-অাচ্ছা দেখো এই বোকা টমটা কোনোদিনও জেরির সাথে পারে না।জেরি যখন….
অামার স্টরি বলা দেখে অাম্মু,অাপু পালাতে পারলে বাঁচে।বাহ্ এটাই তো চেয়েছিলাম।এখন শান্তিমত বদমাইশগিরি করতে পারব।
একটু পর অাবার অাম্মু অাসল।
-কাল না তোর পদার্থ পরীক্ষা?
-কালকে?
-হ্যাঁ,যা পড়তে বস।
হু্হ মনটা খারাপ করে পড়তে বসলাম।অারে অামি তো সবই পারি কি অার পড়ব।তাই ঘুমিয়ে গেলাম।সকালে zozo টাকে অাম্মুর কাছে রেখে কলেজে গেলাম।কলেজে দেখা মিলল চিরচেনা হারামিগুলোর সাথে।
যাইহোক পরীক্ষা শেষ করে বাইরে অাসতেই দেখা মিলল বন্ধু অাক্কাসের সাথে।অামাকে দেখেই…
-অারে দোস্ত জরিনা যে।কেমন দিলি?
-কি দিলাম?
-পরীক্ষা।!!
-ওহ্ তাই বল।কম খারাপ না।
-অামি তো মামা ৬৭অানসার করছি।
-কিহ্?পরীক্ষাই তো ৫০ এ হইছে।কেমনে কি”!
-কস কি মামা।তাইলে তো অামি এইবার রসায়নে ফার্স্ট হসু।
-কিহ্,রসায়ন????
মুখলেছটা নাচতে নাচতে চলে গেল।জানতেও পারল না অাজকে পদার্থ ছিল।হুহ্ অামার অার কি।
যাই তাড়াতাড়ি বাসায় গিয়ে অামি অার zozo অাবার বদমাইশগিরি শুরু করি।
টাটা