–জুবায়ের ইবনে কামাল
একজন ফটোগ্রাফারের কাজ হলো ইমোশনকে ক্যাপচার করা। আর একজন ভালো ফটোগ্রাফারের লক্ষণ হলো তার ক্যাপচার করা ইমোশন থেকে বিরত থাকা। এটা ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প সিরিজের এবার নাটক ‘আমি তোমার গল্প হবো’ এর ছোট্ট একটি কথন।
ইশতিয়াক মাহবুব একজন জনপ্রিয় ফটোগ্রাফার একটি বিয়ের কাজে পরিচিত হন অখ্যাত এক ওয়েডিং প্ল্যানার জারার সাথে। জান্নাতুল জারাকে দু’চোখেও দেখতে পারেন না ফটোগ্রাফার মাহবুব। একজন মানুষ কী বিরক্তিকর হতে পারে তা জারাকে না দেখলে বোঝা যাবেনা এমন মনোভাবও ব্যক্ত করেন মাহবুব। কিন্তু গল্পটা কী আদৌ শেষে এরকমই ছিলো?
নাটকটির কাহিনী লিখেছেন খাইরুল হাসান। পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ। চিত্রনাট্য তৈরী করেছেন নির্মাতা নিজেই। তিনি আগেই বলেছিলেন গল্পটি কমন হলেও গল্পে রয়েছে অনেক বাঁক। নাটকে কী সেরকম কিছু হয়েছে?
যেখানে মাহবুব জারাকে একদমই সহ্য করতে পারেনা সেখানে হঠাতই ঘটনা মোড় নেয়। কোন প্রকার ভুজুংভাজুং না করেই রৌদজ্জল এক সকালে মাহবুব জানায় সে জারাকে সত্যি ভালোবাসে। স্বাভাবিকভাবেই জারা ব্যপারটাকে কৌতুক মনে করে এড়িয়ে যায়। মাহবুব অবশ্য পিছুপা হয়নি। ফুল নিয়ে ফিটফাট ফুলবাবু হয়ে মাহবুব একদিন রাতে হাজির হয় জারার বাড়ির দরজায়। কড়া নাড়া দেবার পর একটি ফুটফুটে বাচ্চা খুলে দেয় জারার দরজা। সেদিন মাহবুব দরজা দিয়ে জারার বাসায় তো ঢুকেইনি ; বরং ফুল নিয়েই ফিরে এসেছিলো। কিন্তু কেনো?
নাটকের প্রত্যেকটি অংশে রয়েছে মোড় ঘুরানোর মত দৃশ্য। ইশতিয়াক মাহবুবের চরিত্রে অভিনয় করেছে সত্যি মাহবুব। মানে তাওসিফ মাহবুব। আর তার বিপরীতে ওয়েডিং প্ল্যানারের চরিত্রে কাজ করেছেন মিষ্টি অভিনেত্রী টয়া। আর এই নাটকে কাজ করে ক্লোজআপ কাছে আসার গল্পে পরপর তিনবছর নাটক বানিয়ে রীতিমত হ্যাটট্রিক রেকর্ড গড়েছেন নির্মাতা বান্নাহ।
গল্পটা শেষ হয়েছে দুজনার মিল হয়েই। তবে বাংলা সিনেমার গতানুগতিক সমাপ্তির মত নয়। নাটকের প্রত্যেকটি অংশে ছিলো বাস্তবের হাতছানি। মুল চরিত্রে তাওসিফ ও টয়া থাকলেও অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছে ফারহান, আদিবা আনিসা সহ আরো অনেকে।
নাটকের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিলো ‘ওভার একটিং’ বিহীন অভিনয়। প্রত্যেকটি ভালোবাসার নাটকেই থাকে হয় অভিনয়ে বাড়াবাড়ি অথবা বাস্তবে একদমই অসম্ভব এমন সব গল্প। যা এই নাটকে ছিলো একদম অনুপস্থিত। ‘আমি তোমার গল্প হবো’ নাটকটি প্রচারিত হয়েছে বাংলাভিশনে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে রাত ৮ টা ৪৫ মিনিটে। বরাবরের মতই খুব তাড়াতাড়ি নাটকটি পাওয়া যাবে ইউটিউবে।