ইভান আহমেদ রাকিব
বসন্তের শেষ বৃষ্টি আমের পূর্ন পাতায় ভোরের শিশির এর মতো মুক্তা হয়ে জ্বল জ্বল করছে। পাখিরা ডালে বসে অপেক্ষায় আছে সূর্যের জন্য। পথশিশুরা কাঁথা খুজে অস্থির,একটা রাত অতিক্রম এর জন্য। এক একজন প্রহরিরা মিনিটারি হয়ে বেরিয়ে পড়ে সন্তানাদি ছেড়ে পেটের দায়ে। কর্মহীন, বেকার ছেলেটি প্রতিদিনের মতো শুকনো মুখ ক্লান্ত শরীর আর সার্টিফিকেট হাতে ফিরে আসে গৃহকোনে।
মোমবাতির আলোয় মা শুভ্রোর চোখের দিকে তাকিয়ে আয়ু গুনছে। মরুতিটার হেডলাইট জ্বালিয়ে দূরস্থ গতিতে ছুটছে ঘুষখোর অমূল্য বাবু।
পাড়ায় পাড়ায় চরিত্রহীন পুরুষ অপকর্মে লিপ্ত হয়ে উৎফুল্লবোধ করছে।
প্রচলিত রাজনীতিবিদ চিন্তায় মগ্ন যে কোথায় হানা দেওয়া যায়, কারখানার শ্রমিক পাথুরে শরীর নিয়ে ফিরছে পরিবারবর্গে।
আনন্দে,অপকর্মে, দুঃখে,স্বপ্নে রাত কেঁটে ভোর হয়। ব্রিজ এর ওপর ঘুমিয়ে থাকা শিশুটির ঘুম ভাঙ্গে গাড়ির হর্নে।
প্রহরি ফিরে যায় গৃহে। মা বেরিয়ে পড়ে সন্তানকে বিদ্যাকেন্দ্রে পৌছে দিতে।
পুলিশ বেরিয়ে পড়ে ৫০ টাকার ফুলকপি ২০ টাকায় নেওয়ার উদ্দেশ্যে! রাত শেষে লক্ষ স্বপ্ন দেখা ছেলেটি প্রতিদিনের মতো বাবার নিকট মাথা নুইয়ে রিক্সা ভাড়া নেওয়ার জন্য উপস্থিত হয়েছে, ভিখেরি দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে একমুঠো খাদ্যের জন্যে। কাঠুরি বেরিয়ে পড়ছে কাঠ কাঠার জন্য। কেউ কেউ অপেক্ষা করছে মৃত্যুর জন্য!
কোন কোন শিক্ষার্থী নৌকার হাল ধরে
গন্তব্যের উদ্দেশ্যে চলছে।
এই নিয়েই শীত তার আগমনের সূচনা করে।