জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই শেষে মারা যাওয়া জুলাই যোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফিকের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় এলাকায় তাঁর নিজ গ্রামে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিকুল ইসলাম মারা যান। তিনি হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় এলাকার আব্দুল সামাদের ছেলে। পরিবারটি বর্তমানে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করছিল। শফিকুল ইসলাম গাজীপুর জেলার গেজেটভুক্ত জুলাই যোদ্ধা ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে ৫ আগস্ট দুপুরে উত্তরা আজমপুর এলাকায় তিনি ডান পায়ের উরুতে গুলিবিদ্ধ হন। এরপর দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সরকারিভাবে বিদেশে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ব্যবস্থা করা হলেও তিনি বিদেশে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
জানাজায় অংশ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলীনূর খান বলেন, ‘দেশের জন্য তাঁর এই ত্যাগ জাতি আজীবন স্মরণ রাখবে। আমরা তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।’
ময়মনসিংহ-১ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মুক্তা বলেন, ‘মরহুম শফিকুল ইসলাম শফিক ছিলেন জুলাই বিপ্লবের সম্মুখসারির একজন যোদ্ধা। তাঁর অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আমরা তাঁর পরিবারের পাশে সবসময় থাকব। আল্লাহ তাআলা তাঁকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন।’
সিএ/এএ


