অলিম্পিক ভবনে ট্রফি উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো “১ম সি এ এস আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ ২০২৬”। সেনাবাহিনী প্রধানের পৃষ্ঠপোষকতায় আগামী ০২ জানুয়ারি থেকে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি স্কোয়াশ কমপ্লেক্সে পাঁচ দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ এ আসরে অংশ নেবেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পেশাদার স্কোয়াশ খেলোয়াড়রা।
এই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, হংকং, কুয়েত, বাহরাইন, জাপান, মিশর, বেলজিয়াম ও বাংলাদেশসহ মোট ১০টি দেশের বাছাইকৃত ২৪ জন বিশ্ব র্যাঙ্কধারী স্কোয়াশ খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করবেন। প্রতিযোগিতাটি প্রমাণ করে, স্কোয়াশ খেলা বাংলাদেশে কেবল পুনর্জন্মই লাভ করেনি, বরং এই খেলার মাধ্যমে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও পরিচিতি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম, এসপিপি (অবঃ)-এর সভাপতিত্বে আয়োজিত ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মাহাবুব উল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মেজর ইমরোজ আহম্মদ (অবঃ)।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিমুল গনিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা, ফেডারেশনের দুইজন বিদেশি কোচ, স্কোয়াশ খেলোয়াড়, অতিথিবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম বলেন, মহিলা দলসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক খেলোয়াড় ও কোচ তৈরি, নিয়মিত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন, নিজস্ব স্কোয়াশ কমপ্লেক্স স্থাপনসহ মোট ১০টি লক্ষ্য নিয়ে প্রণীত প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ‘ভিশন ২০২৫’ বা ‘স্বপ্ন যাত্রা’ এ বছর শেষ হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সীমিত সম্পদ ও নিজস্ব স্থায়ী খেলার জায়গা না থাকা সত্ত্বেও সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন কাজ করে ফেডারেশন ইতোমধ্যে ৯টি লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এখন আগামীর প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো এই উন্নয়নের ধারাকে ধরে রেখে আরও এগিয়ে নেওয়া।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মেজর ইমরোজ আহম্মদ স্কোয়াশ খেলার উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহাবুব উল আলম স্কোয়াশ ফেডারেশনের কার্যক্রমের প্রতি সন্তোষ ও আস্থা প্রকাশ করে বলেন, স্কোয়াশের জন্য একটি স্থায়ী জায়গা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে এবং আশা করা যায় অচিরেই এ বিষয়ে একটি ইতিবাচক সমাধান আসবে।
এদিনের অনুষ্ঠানে ট্রফি উন্মোচনের পাশাপাশি ফেডারেশন তাদের দুইজন বিদেশি কোচ—ইরানের মোহাসিন জাভেদ এবং পাকিস্তানের আব্দুল বাসেতকে পরিচয় করিয়ে দেয়। উল্লেখ্য, এই দুই কোচ গত তিন বছর ধরে বাংলাদেশের জুনিয়র স্কোয়াশ খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন।
উল্লেখযোগ্য যে, পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা ‘ভিশন ২০২৫’ বা ‘স্বপ্ন যাত্রা’র মাধ্যমে বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশন প্রায় মৃতপ্রায় একটি তথাকথিত এলিট খেলাকে পুনর্জীবিত করে জনগণের খেলায় রূপান্তর করেছে। এর মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক অনন্য ক্রীড়া বিপ্লবের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ফেডারেশন। এ সাফল্যের জন্য ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই প্রশংসার দাবিদার।
মোঃ নাসরুল্লাহ সাকিব
ঢাকা প্রতিনিধি
সিএ/জেএইচ


