চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানার ইসমাইল হত্যা মামলা এবং চাঁদগাঁও থানার ইমন দাশ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) নগরীর আকবর শাহ ও হাটহাজারী এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, গত ২২ অক্টোবর মো. ইসমাইল নামের এক দিনমজুর চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানার বারুণীঘাট এলাকায় গেলে তাকে চোর সন্দেহে আটক করে প্রান্ত দাশ ও তার সহযোগীরা। পরে তাকে পাশের একটি গ্যারেজে নিয়ে বেঁধে লোহার রড ও লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ইসমাইলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত ইসমাইলের বাবা মো. কাঞ্চন বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে হালিশহর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকেই র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার আকবর শাহ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি প্রান্ত দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে, চাঁদগাঁও থানার ইমন দাশ হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন মহাজন এবং তার সহযোগী মো. নেজাম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭। বৃহস্পতিবার হাটহাজারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ নভেম্বর পূর্ব শত্রুতার জেরে ইমন দাশকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লোহার রড, চাকু ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইমন দাশের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা সাগর দাশ বাদী হয়ে চাঁদগাঁও থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে গ্রেপ্তারকৃত নয়ন মহাজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার সহযোগী নেজাম উদ্দিনকে হাটহাজারীর মদনহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিএ/জেএইচ


