বলিউডে নিজের অবস্থান ধীরে ধীরে শক্ত করছিলেন সানা খান। ঠিক সেই সময়ই তিনি হঠাৎ ধর্মীয় অনুশীলনের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন এবং চলচ্চিত্র জগৎকে বিদায় জানান। ‘বিগ বস’-এর সাবেক এই প্রতিযোগী ২০২০ সালের নভেম্বরে বিয়ে করেন মৌলবী মুফতি আনাস সাইদকে। বিয়ের পর সানার জীবনযাপনে যে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে, তা নিয়ে সে সময় আলোচনা ছিল তুঙ্গে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সানা খান তার দাম্পত্য জীবনের শুরুর দিকের কিছু অজানা গল্প প্রকাশ করেন। তিনি জানান, বিয়ের আগে আনাস সাইদের সঙ্গে তার সম্পর্কের সূচনা ছিল একেবারেই ভিন্নভাবে। তখন আনাস সাইদ নাকি তাকে ‘বাজি’-অর্থাৎ ‘বোন’ বলেই সম্বোধন করতেন। ধর্মীয় অনুশীলনের সূত্র ধরেই দুজনের পরিচয় হয় এবং ধীরে ধীরে সেই পরিচয় ঘনিষ্ঠতায় রূপ নেয়।
সানা আরও বলেন, স্বামী পাশে থাকলে তিনি নিজের বুদ্ধি প্রয়োগ করতে চান না, বরং তার সিদ্ধান্তের ওপর সম্পূর্ণভাবে ভরসা করেন। ধর্মীয় বিশ্বাসই তাদের দুজনকে কাছাকাছি এনেছে। সানার নিষ্ঠার সঙ্গে ধর্মচর্চা, তারকাসুলভ জীবনযাপন ছেড়ে সাধারণ ও সংযত জীবনে অভ্যস্ত হওয়া—এই বিষয়গুলোই গুজরাটের ব্যবসায়ী আনাস সাইদকে ধীরে ধীরে মুগ্ধ করে তোলে।
অন্যদিকে, সানা জানান, সে সময় তিনি আনাস সাইদকে ‘মৌলানাজি’ বলেই ডাকতেন। তখন তিনি কল্পনাও করতে পারেননি, এই ধর্মগুরুই একদিন তার জীবনসঙ্গী হয়ে উঠবেন। সম্পর্কের শুরুতে বিষয়টি ছিল পুরোপুরি আধ্যাত্মিক ও বিশ্বাসভিত্তিক।
আনাস সাইদও সানার প্রতি তার অনুভূতির কথা তুলে ধরেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, সানার পরিবারের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং মমত্ববোধ তাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে। বাবা-মায়ের যত্ন নেওয়া থেকে শুরু করে সংসারের খুঁটিনাটি দেখভাল—সবকিছুই সানা করতেন আন্তরিকতা ও ভালোবাসা দিয়ে। তখনই আনাস সাইদের মনে হয়, যাকে এতদিন ‘বোন’ বলে সম্বোধন করেছেন, ভবিষ্যতে তিনিই তার স্ত্রী হতে চলেছেন।
ধর্ম, বিশ্বাস এবং সাধারণ জীবনচর্চার মধ্য দিয়েই গড়ে ওঠে সানা খান ও আনাস সাইদের এই ব্যতিক্রমী সম্পর্ক, যার শুরুটা হয়েছিল একেবারেই ‘বাজি’ সম্বোধন দিয়ে।
সিএ/বিই


