বয়স যে সাফল্য ধরে রাখার পথে বাধা নয়, তার জীবন্ত উদাহরণ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ৪১ বছরে পা রেখেও পর্তুগিজ এই তারকার ফিটনেস আজও যেকোনো তরুণ ফুটবলারের জন্য ঈর্ষণীয়। মাঠে তাঁর ক্ষিপ্রতা, শক্তি ও সহনশীলতা দেখে অনেকেই প্রশ্ন করেন—এই বয়সে এমন শরীর কীভাবে সম্ভব।
রোনালদোর ফিটনেসের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ সুশৃঙ্খল জীবনযাপন। ক্লাবের নিয়মিত অনুশীলনের পাশাপাশি তাঁর রয়েছে আলাদা শরীরচর্চার কঠোর রুটিন। জিমে ভারোত্তোলন, স্প্রিন্ট ও কার্ডিও—সব মিলিয়ে সপ্তাহে পাঁচ দিন তিন থেকে চার ঘণ্টা প্রশিক্ষণে ব্যয় করেন তিনি। ম্যাচের সূচি থাকলেও এই রুটিনে কোনো ব্যত্যয় ঘটান না রোনালদো।
চলতি বছর পরিচালিত একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, রোনালদোর বায়োলজিক্যাল এজ ২৮ বছর ৯ মাস। অর্থাৎ ক্যালেন্ডারের হিসেবে তিনি চল্লিশোর্ধ হলেও তাঁর শরীর একজন ২৯ বছর বয়সী ক্রীড়াবিদের মতোই কার্যক্ষম। একই পরীক্ষায় উঠে এসেছে, তাঁর শরীরে চর্বির হার মাত্র ৭ শতাংশ, যেখানে সাধারণ পেশাদার খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে এটি ৮ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যে থাকে।
শুধু কঠোর অনুশীলন নয়, রিকভারি প্রক্রিয়াকেও সমান গুরুত্ব দেন রোনালদো। সনা সেশন, পিলাটিস এবং প্রতিদিন নিয়মিত প্রায় ১৭ হাজার স্টেপ হাঁটা তাঁর রুটিনের অংশ। এই অভ্যাসগুলো শরীরকে দ্রুত পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে এবং চোটের ঝুঁকি কমায়।
খাদ্যাভ্যাসেও রোনালদো অত্যন্ত কঠোর। অল্প অল্প করে দিনে একাধিকবার খান তিনি। খাদ্যতালিকায় থাকে কম চর্বিযুক্ত খাবার, উচ্চমাত্রার প্রোটিন, টাটকা মাছ, ফল ও সালাদ। চিনি তিনি পুরোপুরি বাদ দিয়েছেন। কোল্ড ড্রিংকের বদলে পানিতেই তাঁর ভরসা।
ঘুমের ক্ষেত্রেও রোনালদো অনুসরণ করেন ভিন্ন পদ্ধতি। তিনি মেনে চলেন পলিফেজিক স্লিপ, যেখানে একটানা না ঘুমিয়ে ৯০ মিনিট করে কয়েক ধাপে ঘুমানো হয়। রোনালদোর মতে, এই ঘুমের ধরনই তাঁর ফিটনেস ধরে রাখার অন্যতম চাবিকাঠি।
সিএ/জেএইচ


