আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তহবিল সংগ্রহ কার্যক্রম চালাচ্ছেন ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। মাত্র ২২ ঘণ্টার ব্যবধানে তার নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহে এসেছে ৩৭ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার খুব কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় এই উদ্যোগ নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ৫৭ মিনিটে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানান ডা. তাসনিম জারা। পোস্টে তিনি সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জানান, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হতে যাচ্ছে।
তিনি লেখেন, “মাত্র ২২ ঘণ্টায় ৩৭ লাখ টাকা আপনারা পাঠিয়েছেন! ফান্ডরেইজিং লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়ার খুব কাছে আমরা। আপনাদের এই ভালোবাসা ও স্বতঃস্ফূর্ত সাড়ার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা : ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫৮০ টাকা। অর্থাৎ আর ৯ লাখ টাকা সংগৃহীত হওয়া মাত্রই আমরা এই ফান্ডরেইজিং ক্যাম্পেইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেব।”
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, রাত ২টার দিকে বিকাশ অ্যাকাউন্টের লিমিট শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকে অনুদান পাঠাতে পারছেন না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “উল্লেখ্য, রাত ২টার সময় আমাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টের লিমিট শেষ হয়ে গেছে। যারা এখনো অনুদান পাঠাতে আগ্রহী কিন্তু বিকাশ সমস্যার কারণে পারছেন না, তারা দয়া করে আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ডোনেট করুন।”
তহবিল ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়টি শুরু থেকেই গুরুত্ব দিয়ে আসছেন বলে জানান ডা. তাসনিম জারা। তিনি বলেন, “শুরু থেকেই আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, এই ফান্ডের প্রতিটি পয়সার হিসাব হবে স্বচ্ছ। এই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আমরা নিচের পদক্ষেপগুলো মেনে চলছি।”
স্বচ্ছতার ব্যাখ্যায় তিনি উল্লেখ করেন, “আমরা কোনো ক্যাশ ডোনেশন গ্রহণ করছি না। প্রতিটি অনুদান একটি মাত্র বিকাশ ও একটি মাত্র ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আসছে, যার রেকর্ড সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এটি ভবিষ্যতে যাচাই করা যাবে।” পাশাপাশি তিনি জানান, “কোন মাধ্যমে কত টাকা আসছে, তা আমরা আপনাদের নিয়মিত জানাচ্ছি। এই সমস্ত নথিপত্র আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেব, যাতে তারা পূর্ণ স্বচ্ছতা যাচাই করতে পারে।”
সংগৃহীত অর্থের ব্যয় নিয়েও বিস্তারিত জানানো হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। ডা. তাসনিম জারা বলেন, “সংগৃহীত অর্থ ঠিক কোন কোন খাতে কতটুকু ব্যয় করা হবে, তা স্পষ্ট করে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে। স্বচ্ছতা আরও বৃদ্ধি করার জন্য আপনাদের কোনো পরামর্শ থাকলে আমাদের জানাবেন।”
সিএ/জেএইচ


