আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে উদ্বোধনী ম্যাচেই নাটকীয় জয় পেয়েছে রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়ন মিসর। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) মরক্কোর আগাদিরে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তারা। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে লিভারপুল ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহর করা গোলেই আসে মিসরের কাঙ্ক্ষিত তিন পয়েন্ট।
ম্যাচের আগে ক্লাব ফুটবলে সময়টা সালাহর জন্য সুখকর ছিল না। মরক্কোয় পা রাখার আগে লিভারপুলের টানা পাঁচ ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি তাঁর। এ নিয়ে কোচ আর্নে স্লটের সঙ্গে বিরোধেও জড়ান তিনি। ইংলিশ ক্লাবটিতে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়েও তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। তবে জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নেমে এসব আলোচনা যেন এক মুহূর্তে পেছনে ফেলে দেন মিসরের অধিনায়ক।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৩৫তম অবস্থানে থাকা মিসরের বিপক্ষে ১২৯তম জিম্বাবুয়ের ম্যাচ শুরুর পরই দেখা যায় চমক। ফুটবলে শক্তি ও অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকলেও ম্যাচের ২০ মিনিটে প্রিন্স দুবের গোলে এগিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। এই গোল মিসর শিবিরে কিছুটা অস্বস্তি তৈরি করলেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে নিজেদের করে নেয় তারা।
বিরতির পর আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় মিসর। এর ফল আসে ৬৪ মিনিটে। ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ড ওমর মারমৌশের গোলে সমতায় ফেরে উত্তর আফ্রিকার দলটি। এরপর একের পর এক সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা। নির্ধারিত সময়েও বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করে মিসর, এমনকি সালাহ নিজেও একটি নিশ্চিত সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন।

শেষ পর্যন্ত যোগ করা সময়েই আসে স্বস্তির মুহূর্ত। বক্সের ভেতরে বল পেয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে জিম্বাবুয়ের ৪০ বছর বয়সী গোলকিপার ওয়াশিংটন আরুবিকে পরাস্ত করেন সালাহ। এই গোলেই নিশ্চিত হয় মিসরের জয়। ম্যাচের শেষভাগে জিম্বাবুয়ের ১১ জন খেলোয়াড়ই নিজেদের রক্ষণে অবস্থান নিয়ে গোল ঠেকানোর চেষ্টা করেন, তবে চাপ সামলাতে পারেননি।
জয়ের পর মিসরের কোচ হুসাম হাসান বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেছি। ভাগ্যও আমাদের সহায় ছিল না। এটাই ফুটবল। ম্যাচে আমরাই শ্রেয়তর দল ছিলাম। উদ্বোধনী ম্যাচ সব সময়ই কঠিন হয়।’
একই দিনে মরক্কেশে ‘বি’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জয়ের মধ্য দিয়ে টানা ছয় ম্যাচের জয়খরা কাটাল ‘বাফানা বাফানা’রা। অন্যদিকে কাসাব্লাঙ্কায় ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে মালি ও জাম্বিয়ার লড়াই ১-১ গোলে ড্রয়ে শেষ হয়।
সিএ/বিই


