শিমুল অধিকারী সুমন, চাঁদপুর:
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় শিক্ষক দম্পতির বাড়িতে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটনসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হাইমচর থানায় যোগদানের পর থেকেই অপরাধ দমনে আপসহীন ও সাহসী ভূমিকার জন্য বর্তমানে প্রশংসায় ভাসছেন এসআই মো. সোহরাব হোসেন ভূঁইয়া।
পুলিশি অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হলো লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরের মুক্তারুজ্জামান (৩৬), চন্দ্রগঞ্জের ইমরান হোসেন পাবেল (২৯) এবং লক্ষ্মীপুর সদরের আবুল কালাম আজাদ ওরফে চশমা আজাদ (৫০)।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের দুর্ধর্ষ সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি ও দস্যুতার মামলা রয়েছে। সম্প্রতি তারা হাইমচরের চরভাঙ্গা গ্রামে এক শিক্ষক দম্পতির ঘরে ঢুকে তান্ডব চালিয়ে মালামাল লুট করে।
গ্রেপ্তারের পর আসামি মুক্তারুজ্জামান ও ইমরান হোসেন পাবেলকে আদালতে তোলা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দিতে তারা শিক্ষক দম্পতির বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা এবং নিজেদের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।
চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি হাইমচর থানায় যোগদানের পর থেকেই কর্মতৎপরতায় মুন্সিয়ানা দেখাচ্ছেন এসআই মো. সোহরাব হোসেন ভূঁইয়া। অল্প সময়ের ব্যবধানে তিনি মাদক নির্মূল, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার ভিকটিম উদ্ধার এবং ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বিশেষ করে এই চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলার আসামিদের আইনের আওতায় আনায় হাইমচরের সাধারণ মানুষের মাঝে পুলিশের প্রতি আস্থা বহুগুণ বেড়েছে।
হাইমচর উপজেলার সচেতন নাগরিক সমাজ ও ভুক্তভোগী পরিবার পুলিশের এই দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপের জন্য এসআই সোহরাব হোসেন ভূঁইয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। স্থানীয়রা জানান, সোহরাব হোসেনের মতো চৌকস অফিসারদের কঠোর অবস্থানের কারণে উপজেলায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অনেকাংশে কমে আসবে।
হাইমচর থানা পুলিশ জানায়, জননিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের এই বিশেষ অভিযান ও কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
সিএ/জেএইচ


