নতুন পে স্কেল চালুর দাবিতে সরকারি চাকরিজীবীদের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো ঘোষণা আসেনি। ১৮ লাখ সরকারি চাকরিজীবীর দেওয়া আল্টিমেটামের শেষ দিন ১৫ ডিসেম্বর পার হয়েছে। কর্মচারীদের দাবি অনুযায়ী, ওই তারিখের মধ্যেই নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন করে গেজেট প্রকাশ করার কথা ছিল। কিন্তু তা না হওয়ায় এখন পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহ আহমেদের সাক্ষাতের অপেক্ষায় রয়েছেন কর্মচারী নেতারা।
গত রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টার দপ্তরে সাক্ষাতের আবেদনসংবলিত একটি চিঠি হস্তান্তর করেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের কয়েকজন নেতা।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব বেল্লাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা অর্থ উপদেষ্টা সালেহ আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছি। তবে তিনি ওই দিন অফিসে না থাকায় দেখা হয়নি।
উপদেষ্টার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পে স্কেল ও কর্মচারীদের চলমান সমস্যা সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টা অবগত রয়েছেন। এ বিষয়ে শিগগিরই কর্মচারী নেতাদের ডাকা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট নেতারা।
বাংলাদেশ সরকারি গাড়িচালক সমিতির সদস্যসচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের নেতারা এ বিষয়ে বৈঠক করেছেন। প্রথমে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নতুন পে স্কেল দেওয়ার যৌক্তিকতা ও দাবি তুলে ধরা হবে। এরপর তার প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মসূচি ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নের লক্ষ্যে চলতি বছরের জুলাই মাসে একটি বেতন কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে কর্মচারী নেতাদের দাবি, কমিশনের সুপারিশের অপেক্ষা না করে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই নতুন পে স্কেলের গেজেট প্রকাশ করা প্রয়োজন ছিল।
সিএ/এএ


