ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে উড়াল দিয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। সোমবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুরের পথে রওনা হয়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, এর আগে বেলা ১১টা ২২ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় পৌঁছায়। সব ধরনের মেডিক্যাল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নির্ধারিত সময়েই উড্ডয়ন করে বিশেষ এই ফ্লাইটটি। হাদির সঙ্গে তার দুই ভাইও সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন।
গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় শরিফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি চালায় মোটরসাইকেলে আসা দুই আততায়ী। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসকরা জানান।
হাদির ওপর হামলার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় একটি হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন ওসমান হাদির এক আত্মীয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিকসহ এ পর্যন্ত ছয়জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্য, অভিযুক্ত ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও আরও এক নারী রয়েছেন।
এদিকে হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন আততায়ী হিসেবে ‘ফয়সাল করিম’ নামের এক ব্যক্তির কথা উঠে এসেছে। জানা গেছে, তিনি কিছুদিন ধরে হাদির নির্বাচনী প্রচারণার কাজে যুক্ত ছিলেন। পুলিশ তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করে নাগরিকদের কাছে তথ্য চেয়েছে। ফয়সাল করিম নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মোহাম্মদপুর এলাকার নেতা ছিলেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে।
হামলার পর আততায়ীরা ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে পালিয়ে থাকতে পারে—এমন গুঞ্জনের কথাও উঠে এসেছে। তবে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস জানিয়েছেন, এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবু গুঞ্জনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সীমান্ত এলাকায় পুলিশের টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে গত নভেম্বর মাসে দেশি-বিদেশি প্রায় ৩০টি নম্বর থেকে হত্যাসহ নানা ধরনের হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। ১৪ নভেম্বর ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি দাবি করেন, তাকে হত্যা, তার বাড়িতে আগুন দেওয়া এবং তার পরিবারের সদস্যদের ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সিএ/এএ


