রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুজন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য এবং অপর দুজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শেরেবাংলা নগর, মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র ব্রিগেডের সদস্যরা যৌথভাবে এই অভিযান চালান। অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি ও উদ্ধার হওয়া দেশীয় অস্ত্র মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মোহাম্মদপুর থানা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এক অভিযানে একটি দেশীয় সামুরাই অস্ত্রসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন মো. সুজন ব্যাপারী (২৭) ও মো. রাব্বি (২২)। তারা দুজনই চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ছিনতাই ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে তারা একটি দোতলা ভবনের ছাদ থেকে পাশের টিনশেডের ওপর লাফ দেন। এতে তারা কিছুটা আহত হন। পরে সেনাসদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
এ ছাড়া পৃথক আরেকটি অভিযানে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। অভিযানে ১৩০ পুরিয়া ও ১০৫ গ্রাম হেরোইনের প্যাকেট, ২০০টি ইয়াবা ট্যাবলেট এবং মাদক বিক্রির নগদ ৩২ হাজার টাকাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হওয়া হেরোইনের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫ লাখ ৩২ হাজার টাকা এবং ইয়াবার মূল্য প্রায় ৪৫ হাজার টাকা।
মাদকসহ গ্রেপ্তার দুজন হলেন মো. বুলু (৪০) ও মো. শাহাবুদ্দিন (২৪)। তারা দুজনই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী চুয়া সেলিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, অপরাধ ও সন্ত্রাস দমনে সেনাবাহিনী সর্বদা সতর্ক রয়েছে। সাধারণ মানুষ যদি কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য জানতে পারেন, তাহলে নিকটস্থ সেনাক্যাম্প বা থানাকে অবহিত করার আহ্বান জানান তিনি। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
সিএ/এএ


