শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আইনের শাসন, স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৪৬ মিনিটে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
পোস্টে তিনি ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নিহত শিক্ষক, চিকিৎসক, লেখক, সাংবাদিক, শিল্পীসহ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, ১৪ ডিসেম্বর মূলত জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণের দিন। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা দেশবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলেন এবং স্বাধীনতার পক্ষে কলম ধরেছিলেন।
তারেক রহমান বলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ছিল দেশকে মেধাশূন্য করার গভীর চক্রান্ত, যার উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার বিজয়কে বাধাগ্রস্ত করা। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যার ঘটনা আজও জাতিকে বেদনাবিধুর করে। তবে তাদের রেখে যাওয়া আদর্শ—জ্ঞান-বিজ্ঞান, মুক্তচিন্তা, ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সম্প্রীতির চেতনা—একটি উন্নত ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র গড়ার প্রেরণা জোগায়।
তিনি উল্লেখ করেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের লক্ষ্য ছিল একটি আধুনিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ। কিন্তু অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে গেলেও সেই স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। গণতন্ত্র বারবার সংকটে পড়েছে, একদলীয় দুঃশাসনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ প্রতিহত করা হয়েছে। বহু রক্ত ঝরলেও মতপ্রকাশ, লেখা ও বলার স্বাধীনতা আজও সংকট থেকে মুক্ত হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতনের পর যদি আইনের শাসন, স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং বহু পথ ও মতের রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা যায়, তাহলেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
শোকাবহ এই দিনে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রত্যাশার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
সিএ/এএ


