রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল, কূটনীতি ও নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোর বাইরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের খাদ্যাভ্যাসও অত্যন্ত কঠোর নিয়মে আবদ্ধ। বিদেশ সফরে তিনি প্রায়ই রাষ্ট্রীয় ভোজ বা আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে অংশ নেন না; বরং অনুসরণ করেন ব্যক্তিগত ডায়েট পরিকল্পনা ও নিরাপত্তা-নির্ভর খাদ্যবিধি।
বর্তমানে পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে অবস্থান করছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন কূটনৈতিক প্রতিনিধিদলের পাশাপাশি বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত শেফদের একটি দল। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিদেশে খাবারের ক্ষেত্রে পুতিন সামরিকধাঁচের নিরাপত্তা রীতি অনুসরণ করেন।
খাবার প্রস্তুত ও পরীক্ষায় বহুস্তরীয় নিরাপত্তা
সফরকালে পুতিনের জন্য আলাদা রান্নাঘর স্থাপন করা হয়, যেখানে নির্দিষ্ট শেফ–এর তৈরি খাবার কয়েক ধাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর টেবিলে পৌঁছায়। প্রতিটি বিদেশ সফরেই থাকে একটি বহনযোগ্য ‘টেস্টিং ল্যাব’, যা খাবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এই কারণে তিনি খুব কমই হোটেল বা রাষ্ট্রীয় ভোজে অংশ নেন।
তিন মূলনীতি: শৃঙ্খলা, সরলতা ও নিরাপত্তা
পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস নির্ধারিত তিন নীতিতে—
শৃঙ্খলা, সরলতা ও নিরাপত্তা।
দিনের শুরু হয় রাশিয়ার জনপ্রিয় ‘ফরগ’ নামের এক প্রকার পনির ও মধু দিয়ে। সঙ্গে থাকে দুধ বা পানিতে ভেজানো শস্যজাতীয় নরম খাবার—যা কম শর্করা এবং উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ।
মাছপ্রধান খাদ্যতালিকা
দুপুর ও রাতের খাবারে বেশি গুরুত্ব পায় ধোঁয়ায় রান্না করা তাজা মাছ। লাল মাংস খুব কম গ্রহণ করলেও মাঝে মাঝে খান ভেড়ার মাংস—তাতেও মসলা ব্যবহার হয় খুবই সীমিত পরিমাণে। প্রতিটি মেনুতে থাকে টমেটো, শসা ও বিভিন্ন সবুজ সবজির সালাদ।
দিনের শেষেও স্বাস্থ্যকর পানীয়
দিনশেষে পুতিন পান করেন তাজা ফলের শরবত, ভেষজ পানীয় কিংবা রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী বিটরুট-হর্সর্যাডিশ জুস—যা তাঁর খাদ্যতালিকার অপরিহার্য অংশ।
সিএ/এএ


