সদ্য শেষ হওয়া নভেম্বর মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সে বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, গত মাসে দেশে এসেছে ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার—যা পৌনে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এতে দেশীয় মুদ্রায় পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩৫ হাজার ২৫২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে হিসাব)।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তথ্যমতে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে ৬৯ কোটি ডলার বা প্রায় ৩১ শতাংশ। গত নভেম্বরে দেশে এসেছিল ২২০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, হুন্ডি প্রতিরোধে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর নজরদারি, ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহারে উৎসাহ দিতে বিভিন্ন প্রণোদনা এবং প্রযুক্তি উন্নয়ন রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও স্বস্তি ফিরে এসেছে।
চলতি অর্থবছরে মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল— জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার ও অক্টোবরে ২৫৬ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।
প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) মোট ১ হাজার ৩০৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার বা ১৩ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে রেমিট্যান্স প্রবাহ দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার— যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি। এর আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার।
অর্থনীতিবিদদের মতে, প্রবাসী আয় বৃদ্ধির এই ধারাবাহিকতা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে ডলারের জোগান, রিজার্ভ শক্তিশালী করা এবং বৈদেশিক লেনদেন ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা আনার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সিএ/ইরি


