তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিধান পুনঃপ্রবর্তন নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকালেই রায় ঘোষণার পর সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের রায়ের পর থেকেই দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা বিতর্কের মুখে পড়ে এবং তিনটি জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। তার মতে, আজকের এই রায় সেই সংকট কাটিয়ে গণতান্ত্রিক ধারায় প্রত্যাবর্তনের সুযোগ তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ আদালত রিভিউ পিটিশন গ্রহণ করে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনর্বহাল করেছে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে ওই বাতিল রায়কে অসাংবিধানিক বলে মনে করেন এবং তখন থেকেই নিয়মিত এই বিষয়ে মত প্রকাশ করে আসছেন।
এ সময় আপিলকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া জানান, আজকের রায়ের মাধ্যমে খায়রুল হকের নেতৃত্বে দেওয়া রায় সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে। ফলে ত্রয়োদশ সংশোধনীর আওতায় প্রবর্তিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আবার সংবিধানে ফিরে এসেছে। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই রায়কে তিনি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
এর আগে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ এ ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চে আরও ছিলেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
২০১১ সালের ১০ মে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় দেওয়ার পর চলতি বছরের ২৭ আগস্ট রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণ করেন আদালত। এরপর বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিক, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।
সিএ/এমআরএফ


