ঝুঁকি এড়াতে নিরাপদ বিনিয়োগের ঝোঁক বাড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে বুধবার (১৯ নভেম্বর) স্বর্ণের দাম সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের সর্বশেষ বৈঠকের কার্যবিবরণী এবং বিলম্বিত চাকরির বাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে নজর রাখছেন। এতে ভবিষ্যতের সুদের হার সম্পর্কিত নতুন ইঙ্গিত মিলতে পারে, যা বাজারকে প্রভাবিত করতে পারে। এই অনিশ্চয়তা এড়িয়ে বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণ কেনার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করেছেন।
গ্রিনিচ সময় অনুযায়ী সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে স্পট গোল্ডের দাম ০.৫% বেড়ে প্রতি আউন্স ৪,০৮৮.০৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে ডিসেম্বরে সরবরাহযোগ্য যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণের ফিউচারের দামও ০.৫% বাড়িয়ে ৪,০৮৭.৯০ ডলারে লেনদেন হয়েছে।
এফএক্সটিএম-এর সিনিয়র রিসার্চ অ্যানালিস্ট লুকমান ওতুনুগা বলেন, “গত সেশনে স্বর্ণের দাম মনস্তাত্ত্বিক ৪,০০০ ডলারের স্তর থেকে কমে আসার পর আজ সতর্ক বাজার ভাবনার মাঝেও সামান্য উত্থান দেখা যাচ্ছে।” রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম সুদের হার এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে স্বর্ণের বাজার পুনরায় চাঙ্গা হয়ে উঠছে।
দেশীয় বাজারেও বুধবার (১৯ নভেম্বর) স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হবে ২ লাখ ৬ হাজার ৯০৮ টাকায়। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৩৬৪ টাকা কম ছিল।
স্থানীয় বাজারে নতুন দামের ভিত্তিতে, ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ প্রতি ভরি ২ লাখ ৬ হাজার ৯০৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিএ/এমআরএফ


