রাজধানীর সবজির বাজারে বৃষ্টির প্রভাবে বিগত প্রায় চার মাস ধরে ঊর্ধ্বগতিতে চলা সবজির দাম শেষ দুই সপ্তাহে কিছুটা কমতে শুরু করেছে। শীতের আগমনী বার্তা এবং সরবরাহ বৃদ্ধি ক্রেতাদের জন্য স্বস্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে পেঁপে এখন প্রতি কেজি মাত্র ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ক্রেতাদের জন্য আংশিক সস্তার সংবেদন তৈরি করেছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজারে দেখা গেছে, পটল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, নতুন উঠা শালগম ১০০ টাকা। এছাড়া বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ধন্দুল ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, কঁচু ৬০ টাকা ও শিম ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মগবাজার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি আগের তুলনায় বেড়েছে। বেসরকারি চাকরিজীবী সাজ্জাদ হোসেন তোহা বলেন, “গত কয়েক মাস সবজির দাম অনেক বেশি ছিল। গত সপ্তাহে কিছুটা কম দামের সবজি কেনা গেল, তবে এখন আবার কিছু সবজির দাম বাড়ছে। তবুও আগের তুলনায় দাম কমেছে, বিশেষ করে শীত আসার কারণে আশা করা যাচ্ছে দাম আরও কমবে।”
মালিবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা সোহেল হোসেন বলেন, “বিগত চার মাস ধরে সবজির দাম অনেক বাড়েছিল। গত সপ্তাহে দাম কিছুটা কমেছিল, কিন্তু বৃষ্টির কারণে কিছু সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে আজকের বাজারে কিছু সবজির দাম আবার ৮০ টাকার ঘরে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে শীতকালে বিভিন্ন সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং দাম আরও স্থিতিশীল হবে। মূলত শীতকাল হচ্ছে সবজির প্রচুর উৎপাদনের সময়, তাই দাম কমে যেতে থাকবে।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শীতকালে তাপমাত্রা কমার কারণে শাকসবজি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে বাজারে দামের চাপও কমে। এছাড়া ফসলের প্রাকৃতিক চক্র ও কৃষক-সরাসরি বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে দাম আরও নিয়ন্ত্রিত হবে।
সিএ/এমআরএফ


