সংখ্যানুপাতিক (পিআর) ভোটব্যবস্থা চালুর প্রস্তাবের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, পিআর ব্যবস্থা চালু হলে এমনও সময় আসতে পারে যখন এ দেশে কোনো সরকার গঠনই সম্ভব হবে না।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে ‘তারেক রহমান: পলিটিক্স অ্যান্ড পলিসি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “যদি ভোটের হারে সংসদ সদস্য নির্ধারিত হয় এবং কোনো দল ৪০ শতাংশ ভোট পায়, তাহলে দেখা যাবে তাদের আসন হবে মাত্র ১২০টি। এভাবে কখনো সরকার গঠন সম্ভব নয়। অথচ অতীতে ৩৫ থেকে ৩৭ শতাংশ ভোট পেয়ে সরকার গঠিত হয়েছে, কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন যে দল পেয়েছে, সেই দলই সরকার গঠন করেছে।”
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে মোশাররফ বলেন, “আমরা নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছি এবং সবদিক থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু এখনো কেউ কেউ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। পিআর ব্যবস্থার পক্ষে কথা বলে তারা আসলে নির্বাচনের প্রক্রিয়া জটিল করতে চায়।”
বিএনপি নেতার দাবি, পিআর ব্যবস্থা চালু হলে সরকারের স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে এবং জনগণের প্রকৃত গণতান্ত্রিক পছন্দ প্রতিফলিত হবে না। তিনি বলেন, “জনগণের ভোটে কে এমপি হবে, সেটি নির্ধারণ হবে না; বরং দলীয় তালিকা নির্ভর রাজনীতি আরও প্রভাবশালী হয়ে উঠবে।”
দলের নীতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা, খালেদা জিয়ার ‘ভিশন ২০৩০’ এবং দলের প্রস্তাবিত ২৭ দফার সমন্বয়ে ৩১ দফা কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে। “আমরাই সংস্কার চেয়েছি, তাই সংস্কারের বিরুদ্ধে আমরা—এই প্রচারণা বিভ্রান্তিকর,” বলেন তিনি।
মোশাররফ আরও বলেন, “আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। কেউ বিদেশে পালিয়ে থেকে, কেউ দেশে বসে নন-ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে সংকট তৈরি করতে চাচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্য হলো নির্বাচন বিলম্বিত করা বা বাতিল করা।” তিনি জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন এ বিষয়ে।
সিএ/এমআরএফ


