নিউইয়র্ক সিটির আসন্ন মেয়র নির্বাচন ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি নির্বাচনে জয়ী হলে শহরটির ফেডারেল তহবিল সীমিত করে দেওয়া হবে।
স্থানীয় সময় সোমবার (৩ নভেম্বর) নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ ট্রাম্প লেখেন, “যদি কমিউনিস্ট প্রার্থী জোহরান মামদানি নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জিতে যান, তাহলে আমি আইন অনুযায়ী কেবল ন্যূনতম ফেডারেল তহবিল দেব। কারণ একজন কমিউনিস্টের নেতৃত্বে এই শহরের টিকে থাকা সম্ভব নয়।”
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ভোটের আগের দিনই ট্রাম্পের এমন মন্তব্য নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
নিউইয়র্কের কুইন্সের অ্যাসেম্বলিম্যান মামদানি দীর্ঘদিন ধরে বাসস্থান সংস্কার, গণপরিবহন সম্প্রসারণ ও সামাজিক কল্যাণমূলক নীতির পক্ষে সোচ্চার। তিনি নিজেকে ‘ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট’ হিসেবে পরিচয় দেন, যদিও ট্রাম্প ও রক্ষণশীল রাজনীতিকদের দেওয়া “কমিউনিস্ট” তকমা তিনি বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছেন।
এবারের নির্বাচনে মামদানির প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে আছেন সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো ও রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া। সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, মামদানি এগিয়ে রয়েছেন। কুওমো ২০২১ সালে যৌন হয়রানির অভিযোগে গভর্নরের পদ ছাড়লেও এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন।
সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, “কার্টিস স্লিওয়াকে ভোট দেওয়া মানে মামদানিকে সহায়তা করা। কুওমোকে পছন্দ করুন বা না করুন, তার পক্ষেই ভোট দিন।”
মামদানি এরই মধ্যে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস ও নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুলের সমর্থন পেয়েছেন। ছোট দাতাদের কাছ থেকেও তিনি নিয়মিত আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন। তার প্রস্তাবিত নীতির মধ্যে রয়েছে ধনীদের ওপর কর বৃদ্ধি, স্থিতিশীল ভাড়ার ফ্ল্যাটে ভাড়াবৃদ্ধি বন্ধ রাখা ও সরকারিভাবে আবাসনে ভর্তুকি বাড়ানো। এসব কারণে নিউইয়র্কের ব্যবসায়ী মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের গাজা আগ্রাসনের বিরোধিতায় মামদানির সরব ভূমিকা তাকে জাতীয় পর্যায়ে তরুণ ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় করেছে। তবে রিপাবলিকানদের জন্য এটি আক্রমণের সুযোগও তৈরি করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সম্প্রতি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিউ জার্সিতে এক প্রচারণায় মামদানির প্রতি সমর্থন জানান। মামদানির মুখপাত্র ডোরা পেকেক বলেন, “ওবামার সমর্থনের জন্য মামদানি কৃতজ্ঞ। তারা একসঙ্গে নিউইয়র্কে নতুন রাজনীতি গড়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।”
সিএ/এমআরএফ


