ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে আগ্রাসী ব্যাটার ছিলেন রিশাদ হোসেন। নয় নম্বরে নেমে ১৪ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেও সুপার ওভারে তাকে ব্যাটিংয়ে নামানো হয়নি—এ নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে।
ম্যাচে দুই দলই ২১৩ রান করে সমান অবস্থানে থাকায় খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে ১১ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামেন সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। সৌম্য আউট হলে নামানো হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। শেষ ৫ বলে দরকার ছিল ৬ রান, কিন্তু বাংলাদেশ তা তুলতে ব্যর্থ হয়। ফলে সমালোচনার মুখে পড়ে দলীয় সিদ্ধান্ত—কেন ইনফর্ম ব্যাটার রিশাদকে নামানো হলো না?
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সৌম্য সরকার জানান, সিদ্ধান্তটি ছিল সম্পূর্ণ কোচ ও অধিনায়কের পরিকল্পনা অনুযায়ী। তিনি বলেন, “ওটা কোচ আর অধিনায়কের পরিকল্পনা ছিল। তারা ভেবেছিলেন, মেইন ব্যাটসম্যানদের পাঠানোই সঠিক হবে। আমরা জানতাম না কে বল করবে।”
ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন বজায় রাখার দিকেও নজর ছিল বলে জানান সৌম্য। “যদি দুজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নামতাম আর অফ স্পিনার বল করত, তাহলে সমস্যা হতো। এজন্যই ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন রাখা হয়েছিল। ওরাও একইভাবে পরিকল্পনা করেছিল,” বলেন তিনি।
সুপার ওভারে ব্যর্থতার কারণ হিসেবে সৌম্য উইকেটের অবস্থাকেই দায়ী করেন। “উইকেটটা অনেক স্লো ছিল। বল পুরোনো হয়ে গিয়েছিল, টার্নও অনেক ছিল। আমি ভেবেছিলাম একটা বাউন্ডারি নিতে পারব, কিন্তু বড় শট মারা সহজ ছিল না। পরেরবার এমন উইকেটে কীভাবে ছক্কা মারা যায়, সেটি নিয়েই অনুশীলন করতে হবে,” যোগ করেন তিনি।
সিএ/এমআর