যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, চীন তাইওয়ান দখল করতে চায় না এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ট্রাম্প জানান, বেইজিংয়ের আমন্ত্রণে তিনি আগামী বছরের শুরুতে চীন সফরে যাবেন। এছাড়া চলতি মাসের শেষ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার বৈঠকও নির্ধারিত রয়েছে, যেখানে ন্যায্য বাণিজ্য চুক্তির আশা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি শুল্ক ও খনিজ রপ্তানি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়লেও ট্রাম্প শান্তির বার্তা দিয়ে বলেন, “দুই দেশকেই একসঙ্গে সমৃদ্ধ হতে হবে।” তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য, বিশেষ করে সয়াবিনের বড় বাজার ছিল চীন। বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাই তিনি চান চীন আবার যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন কিনুক।
তার এই বক্তব্যের পর শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে সয়াবিনের দাম এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়।
তাইওয়ান প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “চীন এটা (তাইওয়ান দখল) করতে চায় না। আমাদের সম্পর্ক ভালো থাকবে।” যদিও পেন্টাগনের পূর্ববর্তী মূল্যায়নে বলা হয়েছিল, চীন ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ান দখলের পরিকল্পনা করছে।
ট্রাম্প স্বীকার করেন, চীন তাইওয়ান নিয়ে আগ্রহী এবং এটিকে শি জিনপিংয়ের ‘চোখের মণি’ হিসেবে অভিহিত করেন। তবে তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তির কারণে চীন সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না। তার ভাষায়, “আমাদের সবক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব আছে, কেউ এটা নিয়ে খেলতে পারবে না।”
এর আগে জুনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চীনকে “অঞ্চলের জন্য হুমকি” বলেছিলেন, যার জবাবে চীন সতর্ক করে বলে, “তাইওয়ান ইস্যুতে আগুন নিয়ে খেলছে যুক্তরাষ্ট্র।”
সিএ/এমআর