স্মার্টফোন এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, ফোন ব্যবহারের ভুল অভ্যাস শরীর ও ডিভাইসের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
পকেটে ফোন রাখা: চিকিৎসক লিলি ফ্রিডম্যান জানাচ্ছেন, শরীরের সঙ্গে ফোন সরাসরি সংস্পর্শে থাকলে রেডিয়েশন ছড়ায়, যা ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি প্রজনন ক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বালিশের নিচে ফোন: ঘুমের সময় ফোন বালিশের নিচে রাখা অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি বাড়ায়, বিশেষ করে চার্জে থাকলে। এছাড়া ফোনের আলো ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনের নিঃসরণ ব্যাহত করে, ঘুমের মান কমে যায়।
মুখের খুব কাছে ফোন ব্যবহার: দীর্ঘ সময় ফোন মুখের কাছে রাখলে ত্বকে ব্যাকটেরিয়া জমে, যা ব্রণ ও সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। হেডফোন বা ইয়ারপড ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বাথরুমে ফোন ব্যবহার: টয়লেট ফ্লাশের সময় তিন ফুটের মধ্যে থাকা যেকোনো বস্তুতে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ছড়ায়, যা ফোনে জমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
দীর্ঘ সময় চার্জে রাখা: ফোন ফুল চার্জ হওয়ার পরও চার্জার না খুললে ব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় এবং আয়ু কমে। নকল চার্জার ব্যবহার করলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে।
গাড়ির ড্যাশবোর্ড বা গ্লাভ কম্পার্টমেন্টে রাখা: চরম গরম বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় ফোন রাখলে যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বালির ওপর বা সৈকতের তোয়ালে রাখা: সমুদ্র সৈকতে ফোন বালির ওপর রাখলে সূর্যের তাপে অতিরিক্ত গরম হয়ে হার্ডওয়্যারের ক্ষতি হতে পারে।
স্মার্টফোনের ব্যবহার নিরাপদ রাখার জন্য ছোট সচেতনতা যথেষ্ট। ফোন কোথায় রাখছেন এবং কতক্ষণ ব্যবহার করছেন তা খেয়াল রাখা জরুরি।
সিএ/এমআর