আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ধীরে ধীরে সরে আসার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি। ইতিমধ্যেই তিনি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটকে বিদায় জানিয়েছেন। সেই প্রেক্ষাপটে ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে নতুন প্রশ্ন জন্মেছে—আইপিএল থেকেও কি ধীরে ধীরে বিদায় নিতে যাচ্ছেন কোহলি?
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই জল্পনাকে আরও জোরালো করা হয়েছে। ভারতের ক্রীড়া সাংবাদিক রোহিত জুগলান জানিয়েছেন, বিরাট কোহলি সম্প্রতি একটি বড় ব্র্যান্ডের চুক্তি নবায়নে সম্মতি দেননি। কোহলি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে (আরসিবি) জানিয়েছিলেন, ওই ব্র্যান্ডের জন্য অন্য কোনো মুখ খুঁজে নেওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি তার আইপিএল ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হতে পারে।
আইপিএল ২০২৫-এর আগে ফাফ ডু প্লেসিসকে ছাড়ার পর আরসিবি আবারও কোহলিকে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তরুণ রাজত পাতিদারের নাম প্রস্তাব করেন। কোহলির এই সিদ্ধান্তেই ইতিহাস বদলে যায়। পাতিদারের অধিনায়কত্বে প্রথমবারের মতো আইপিএল ট্রফি জেতে আরসিবি।
বিরাট কোহলির আইপিএল ক্যারিয়ার অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ১৮ মৌসুমে ২৬৭ ম্যাচে ৮,৬৬১ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি, যা আরসিবির ইতিহাসে সর্বাধিক। এছাড়া ১৪৩ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন। এই দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং অসাধারণ পারফরম্যান্স তাকে দলের জন্য অবিস্মরণীয় করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোহলির নেতৃত্ব থেকে সরে আসা, ব্র্যান্ড চুক্তি থেকে দূরে থাকা এবং নতুন মুখদের এগিয়ে দেওয়ার মনোভাব—সবকিছুই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তিনি ধীরে ধীরে আইপিএল থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলছেন, কোহলির এই পদক্ষেপ যুব খেলোয়াড়দের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং দলের ভবিষ্যতের জন্য নতুন দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।
ভক্তরা জানেন, কোহলির উপস্থিতি সবসময়ই দলের জন্য আত্মবিশ্বাসের উৎস। তবে এই ধীরগতি পরিবর্তন বোঝাচ্ছে যে ক্রিকেটের মঞ্চে তার অবদান ইতিমধ্যেই ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে। আইপিএলের ভবিষ্যৎ ঘিরে যে জল্পনা চলছে, সেটি এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা।
সিএ/এমআর


