বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব নেওয়ার সময় তিনি জানিয়েছিলেন নির্বাচনে আসার কোনো ইচ্ছা নেই। কিন্তু বিতর্কিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে চার বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়ে এখন বলছেন, ক্রিকেটের উন্নয়নের প্রেমে পড়ায় সেই লোভ ছাড়তে পারেননি।
সোমবার (৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত বিসিবি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হন বুলবুল। ঢাকা জেলা ও বিভাগীয় কোটা থেকে পরিচালক নির্বাচিত হওয়ার পর সভাপতির পদে আর কেউ প্রার্থী না হওয়ায় তিনিই নির্বাচিত হন।
গণমাধ্যমের সামনে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বুলবুল বলেন, ‘এটাকে আমি একটা জার্নির অংশ করে নিয়েছি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নের প্রেমে পড়ে গিয়েছি। হয়তো স্বল্প মেয়াদের জন্য এসেছিলাম, কিন্তু যখন ট্রিপল সেঞ্চুরি প্রোগ্রামের মতো কাজ শুরু করলাম এবং তার সাফল্য দেখতে পেলাম, তখন লোভটা ছাড়তে পারিনি। এখন লক্ষ্য—টু সার্ভ মোর ফর মাই কান্ট্রি।’
বিসিবিতে আসার আগে আইসিসির উন্নয়ন কর্মকর্তা ছিলেন বুলবুল। সেখানে মোটা অঙ্কের বেতনের চাকরি করলেও বিসিবিতে তিনি বিনা বেতনে দায়িত্ব পালন করছেন। তার আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের পদ অনারারি। প্রেসিডেন্টের পদ সবসময় অনারারি ছিল, সেখানেও ব্যতিক্রম হয়নি। এখন আমার ফোকাস শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেট।’
তবে তার সভাপতি হওয়ার নির্বাচনে ব্যাপক সমালোচনা উঠেছে। সরকারি হস্তক্ষেপ ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে তামিম ইকবাল ও তার প্যানেল মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। বেশিরভাগ ক্রীড়া সংগঠকও নির্বাচন বর্জন করেন।
এ অবস্থায় বুলবুল বিরোধীদের উদ্দেশ করে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা সকলে একসাথে কাজ করতে চাই বাংলাদেশ ক্রিকেটে। যারা বোর্ডে আছেন বা নেই—সবাইকে আহ্বান জানাই বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে। দরকার হলে আমরা তাদের কাছেও যাব।’
সিএ/এমআর