ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু কাতারে পরিচালিত বিমান হামলার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। হামলায় কাতারের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হওয়া এবং কাতারি নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তিনি অনুতাপ জানান।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানির সঙ্গে টেলিফোনে আলাপের সময় নেতানিয়াহু এই দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি গভীর শোক জানিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে এমন হামলা আর চালানো হবে না। কাতারের প্রধানমন্ত্রী এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দোহায় একটি অভিজাত আবাসিক ভবনে বৈঠক করছিলেন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতারা। সেখানে গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছিল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ওই ভবনে বিমান হামলা চালালে অন্তত ছয় জন নিহত হন, যাদের মধ্যে একজন ছিলেন কাতারি নিরাপত্তারক্ষী। এ ঘটনায় বৈঠকের কয়েকজন অংশগ্রহণকারী গুরুতর আহত হন।
কূটনৈতিক মহলে বলা হচ্ছে, হামলার পর কাতারের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে ইসরায়েলকে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র ও আরব দেশগুলোর সঙ্গে গাজা সংকট সমাধানের আলোচনায় কাতার গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা পালন করছে। এমন পরিস্থিতিতে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হলে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আইডিএফ জানায়, হামলাটি মূলত হামাসের নেতাদের লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছিল। তবে কাতারি নিরাপত্তাকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক ভুল’ হিসেবে অভিহিত করে তারা অনুশোচনা প্রকাশ করেছে।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, এই ঘটনায় আঞ্চলিক শান্তি প্রক্রিয়া কিছুটা ধাক্কা খেতে পারে। তবে নেতানিয়াহুর ক্ষমা প্রার্থনা পরিস্থিতি সামাল দিতে সহায়ক হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সিএ/এমআরএফ