বদরুল ইসলাম (বরগুনা)
বরগুনা শহরে দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা। শহরের বিভিন্ন সড়ক, অলিগলি, বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে দলবদ্ধভাবে ঘুরে বেড়ানো এসব কুকুরে অতিষ্ঠ পথচারীরা। সম্প্রতি কুকুরের প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় তাদের আক্রমণাত্মক আচরণ আরও বেড়ে গেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
শহরের কলেজ রোড, সদর রোড, বাজার, চরকলোনী, স্টেডিয়াম এলাকা, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট ও জেনারেল হাসপাতালের আশপাশে রাতে ও সকালে বেশি কুকুর দেখা যায়। হঠাৎ করে রাস্তায় দৌড়ে আসা বা দল বেঁধে ঘেউ ঘেউ করার কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা আতঙ্কে থাকেন। অনেক সময় মোটরসাইকেল আরোহীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
শহরের বাসিন্দা জাফর সিকদার জানান, “রাতে বাসায় ফেরার সময় কুকুরের দল পেছন থেকে তাড়া করে। কয়েকবার কামড়ানোর মতো পরিস্থিতি হয়েছে। প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।”
পশু চিকিৎসা কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে কুকুরের প্রজনন মৌসুম চলছে। এ সময়ে তারা দলবদ্ধ ও উত্তেজিত থাকে। যথাযথ টিকাদান ও নির্বীজন কর্মসূচি না থাকায় কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বরগুনা পৌরসভা থেকে শিগগিরই কুকুর গণনা ও নির্বীজন কর্মসূচি চালুর পরিকল্পনা ও পাশাপাশি টিকাদান কর্মসূচির জোর দাবি জানান বরগুনার বহু জনসাধারণ।
করণীয় ও জনসচেতনতা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কুকুরের কামড় থেকে রক্ষা পেতে কিছু সাবধানতা মেনে চলা দরকার।
দলবদ্ধ কুকুরের কাছাকাছি গেলে দৌড়ে পালাবেন না, বরং ধীরে ধীরে সরে আসুন।
রাতে চলাফেরার সময় লাঠি বা টর্চলাইট সঙ্গে রাখা ভালো।
কামড়ালে অবিলম্বে ক্ষত ভালোভাবে সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে নিন এবং নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিন।
স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত নির্বীজন ও টিকাদান কর্মসূচি চালুর দাবি জানান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক সময়ে টিকাদান ও নির্বীজন কর্মসূচি চালু করলে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে এবং রেবিসসহ নানা রোগের ঝুঁকি কমবে।