বাংলাদেশে রফতানির জন্য দেশীয় বাজার থেকে এক লাখ টন লম্বা দানার সাদা চাল কেনার জন্য একটি দরপত্র জারি করেছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব পাকিস্তান (টিসিপি)। ২০২৪ সালের আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ইসলামাবাদ ও ঢাকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য বৃদ্ধির ধারাবাহিকতার মধ্যেই এই উদ্যোগ এসেছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের তথ্যে জানা যায়, গত ২০ নভেম্বর দরপত্রটি জারি করে টিসিপি। দরপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, করাচি বন্দর দিয়ে ব্রেক বাল্ক কার্গো আকারে বাংলাদেশে রফতানির জন্য ১০০,০০০ টন ইরি-৬ মানের লম্বা দানার সাদা চাল কেনা হবে। এখানে কোম্পানি, অংশীদারিত্ব বা একক মালিকানা প্রতিষ্ঠানগুলি পৃথক সিল করা দরপত্র জমা দিতে পারবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সর্বনিম্ন ২৫,০০০ টন এবং সর্বোচ্চ ১ লাখ টন পর্যন্ত সরবরাহের প্রস্তাব দিতে পারবে।
চালের মান নিশ্চিত করতে দরপত্রে আরও বলা হয়, পাকিস্তানে উৎপাদিত সর্বশেষ ফসলের মজুদ থেকে চাল সরবরাহ করতে হবে এবং চালের মধ্যে কোনো অপ্রীতিকর গন্ধ, ছত্রাক, বিষাক্ত আগাছার বীজ বা পোকামাকড়ের অস্তিত্ব থাকা যাবে না।
ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এ উদ্যোগ বাংলাদেশের বাজারে পাকিস্তানি চালের উপস্থিতি আরও বাড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি করবে। এর আগেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করে বাংলাদেশ সরকার-টু-সরকার (জি-টু-জি) ভিত্তিক বাণিজ্য শুরু করে।
আন্তর্জাতিক কৃষি তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ চাল উৎপাদনকারী দেশ। গত ১০ বছরে (২০১৫-২৪) দেশে গড়ে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে। তবে বিপুল চাহিদা পূরণে প্রতিবছর লাখ লাখ টন চাল আমদানি করতে হয়। পূর্বে ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও মিয়ানমার থেকে চাল আসলেও চলতি বছর সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে পাকিস্তান। চাল উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় পাকিস্তানের অবস্থান নবম।
সূত্র: ডন
সিএ/এমআরএফ


