ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার ইলামবাজারে ৯৫ বছর বয়সী ক্ষিতীশ মজুমদার নামে এক বৃদ্ধ আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) মেয়ের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহননের পথ বেছে নেন। পরিবারের দাবি, বাংলাদেশে ‘পুশ-ইন’ করা হতে পারে—এই আতঙ্ক থেকেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ভারতের নির্বাচন কমিশন আগামী ৪ নভেম্বর থেকে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) শুরু করতে যাচ্ছে। এ ঘোষণার পর থেকেই ক্ষিতীশ মজুমদার মানসিকভাবে ভীত হয়ে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। তাদের দাবি, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ক্ষিতীশের নাম না থাকায় তিনি মনে করেছিলেন, এবার তাকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।
নাতনি নির্মলা ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “দাদার নাম ভোটার তালিকায় ছিল না। তিনি বাংলাদেশ থেকে বহু বছর আগে ভারতে এসেছিলেন এবং কঠিন জীবন কাটিয়েছেন। তিনি চিন্তায় ছিলেন, এই বয়সে যদি বাংলাদেশে পাঠানো হয়, তাহলে কীভাবে বাঁচবেন।”
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এই দাবি নাকচ করা হয়েছে। বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার আমনদ্বীপ বলেন, “পরিবার জানিয়েছে, তিনি ভোটার তালিকা হালনাগাদ নিয়ে ভয়ে ছিলেন। তবে কোনো লিখিত নোট বা অভিযোগ পাওয়া যায়নি।”
৯৫ বছর বয়সী ক্ষিতীশ পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা ছিলেন। সম্প্রতি তিনি মেয়ের বাড়িতে থাকতেন বীরভূমের ইলামবাজারে, সেখানেই ঘটে তার মৃত্যুর ঘটনা।
সিএ/এমআর


