রাশিয়া বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম হাইপারসনিক ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক ভিডিওতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। তবে কতটি ক্ষেপণাস্ত্র সক্রিয় করা হয়েছে এবং সেগুলোর সুনির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
ওরেশনিক একটি মধ্যম পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ঘণ্টায় প্রায় ১২ হাজার ৩০০ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করা অত্যন্ত কঠিন বলে দাবি করা হয়। এটি পারমাণবিক অস্ত্র বহন ও নিক্ষেপে সক্ষম, যা পারমাণবিক বোমারু বিমান, সাবমেরিন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এই ঘোষণার আগে গত সোমবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ অভিযোগ করেন, ইউক্রেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের ব্যক্তিগত বাসভবনের দিকে ৯১টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। তবে কিয়েভ এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে।
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে ওয়াশিংটন ও কিয়েভের মধ্যে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির শর্ত নিয়ে আলোচনা করেন। জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ১৫ বছরের নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে রাশিয়া ইউক্রেনের দনিপ্রো শহরের একটি শিল্প কমপ্লেক্সে প্রচলিত বিস্ফোরক ধারণক্ষম ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে। সে সময় বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো জানান, পশ্চিম সীমান্তে পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ান সেনাদের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কারণে তিনি পুতিনকে তার দেশে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের অনুরোধ করেছিলেন। লুকাশেঙ্কো ১৮ ডিসেম্বর অস্ত্র পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক বছর আগে ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্রকে সিরিয়াল প্রোডাকশনে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মস্কো জানিয়েছে, বেলারুশে এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন দীর্ঘদিন ধরেই পরিকল্পনার অংশ ছিল।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘প্রক্ষেপণ, যোগাযোগ, নিরাপত্তা এবং শক্তি সরবরাহের ক্রু বিশেষজ্ঞরা যুদ্ধকর্তব্যে নামার আগে আধুনিক প্রশিক্ষণ সরঞ্জামে পুনঃপ্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছিলেন।’
সিএ/এএ


