মার্কিন হোয়াইট হাউস ভেনেজুয়েলার তেলের ওপর অন্তত দুই মাসের ‘একচেটিয়া অবরোধ’ আরোপের জন্য সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা। এর মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, ওয়াশিংটন বর্তমানে কারাকাসের ওপর অর্থনৈতিক চাপের মাধ্যমে নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
সূত্রটি বলেন, ভেনেজুয়েলাকে সামরিকভাবে মোকাবিলা করার পথ এখনও খোলা রয়েছে। তবে প্রথমে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চাপ সৃষ্টি করা হবে। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপ ইতিমধ্যে কারাকাসের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় না গেলে জানুয়ারির শেষ নাগাদ ভেনেজুয়েলা অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পর্যন্ত দেশটির ওপর তাদের লক্ষ্যগুলো স্পষ্ট করেননি। তবে ব্যক্তিগতভাবে তিনি প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে পদত্যাগের জন্য চাপ দিয়েছেন। ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, মাদুরোর জন্য ক্ষমতা ছাড়াটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ক্যারিবীয় সাগরে মার্কিন সেনা মোতায়েনের কারণ হিসেবে ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন, ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ মাদক প্রবেশ করছে। মাদকবাহী নৌযানের ওপর কয়েক মাস ধরে অভিযান চালাচ্ছে মার্কিন বাহিনী, যা নিয়ে বিভিন্ন দেশের অভিযোগ রয়েছে।
এখন পর্যন্ত ক্যারিবীয় সাগরে ভেনেজুয়েলার দুটি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। রয়টার্সের সূত্র অনুযায়ী, তৃতীয় ট্যাংকার জব্দের অপেক্ষা করছে। নতুন অভিযান আরও সেনাসদস্য নিয়ে চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউস এখনও ‘একচেটিয়া অবরোধ’ কীভাবে কার্যকর হবে তা ব্যাখ্যা করেনি। তবে জাতিসংঘে ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রদূত স্যামুয়েল মনকাদা বলেন, “হুমকিটা ভেনেজুয়েলার নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে নির্দেশ করছে।”
সিএ/জেএইচ


