ভারতের গুজরাটে ছয় দিন ধরে নিখোঁজ থাকা ২০ বছর বয়সী এক যুবককে হত্যা করে দেহ টুকরা করে ফেলেছে তারই এক বন্ধু। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ককে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরেই বন্ধুর হাতে খুন হন নিখোঁজ রমেশ মহেশ্বরী।
নিহত রমেশ ২ ডিসেম্বর নখাত্রানার মুরু গ্রাম থেকে নিখোঁজ হন। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করলে রমেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু কিশোরের ওপর সন্দেহ তৈরি হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় কিশোরের উপস্থিতিতে পুলিশ জানতে পারে, রমেশ ও কিশোর দুজনের পরিচিত এক নারীকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, কিশোর ইনস্টাগ্রামে ওই নারীকে বারবার মেসেজ করে সম্পর্কের চাপ সৃষ্টি করছিলেন। বিষয়টি নারী রমেশকে জানালে দুই বন্ধুর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কিশোর যুবক রমেশকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় বলে অভিযোগ।
পুলিশের কাছে কিশোর স্বীকার করেন, তিনি রমেশকে গ্রামের বাইরে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেন। এরপর ছুরি দিয়ে রমেশের মাথা, হাত ও পা কেটে দেহ খণ্ডিত করেন। দেহের অংশগুলো একটি গভীর কুয়ার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয় এবং বাকি অংশ কাছাকাছি স্থানে পুঁতে রাখা হয়।
স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সোমবার নখাতরানা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি চাপা দেওয়া দেহাংশ এবং কুয়ার ভেতরে ফেলে দেওয়া অংশগুলো উদ্ধার করে। তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সিএ/এএ


