দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধকে ঘিরে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এক থাই সেনা সদস্য নিহত হওয়ার পর দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। থাই বাহিনী জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তারা কম্বোডিয়ার ভেতরে বিমান হামলা চালিয়েছে।
থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্র উইন্থাই সুবারি এক বিবৃতিতে জানান, সোমবার ভোরে উবন রাচাথানি প্রদেশে কম্বোডিয়ান সেনারা থাই সেনাদের ওপর গুলি চালায়। এতে এক সেনা নিহত এবং চারজন আহত হন। এর পরপরই থাইল্যান্ড বিমান মোতায়েন করে সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় কম্বোডিয়ার সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানতে শুরু করে।
অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেতা অভিযোগ করেন, থাইল্যান্ডই প্রথম উত্তেজনা তৈরি করেছে। তাদের দাবি, প্রেহ বিহার ও ওদ্দার মিনচে প্রদেশে থাই বাহিনী ট্যাংক নিয়ে তামোনে থম ও প্রেহ বিহার মন্দিরসংলগ্ন এলাকায় গোলাবর্ষণ চালায়। কম্বোডিয়া এখনও পাল্টা হামলা চালায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
ওদ্দার মিনচে প্রাদেশিক প্রশাসনের মুখপাত্র মেট মিয়াসফেকদেই জানান, শতাব্দীপ্রাচীন তামোনে থম ও তা ক্রাবেই মন্দির এলাকার কাছে তীব্র গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। দুপক্ষের সংঘর্ষে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর মানুষ আতঙ্কে নিরাপদ স্থানে ছুটছেন।
এদিকে, থাইল্যান্ডের সেকেন্ড আর্মি রিজিয়নের হিসাবে, নতুন করে সংঘাত শুরুর পর থাই সীমান্ত এলাকার প্রায় ৩৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কয়েক মাস আগেও দুই দেশের মধ্যে পাঁচদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ৪৩ জন নিহত হন এবং বাস্তুচ্যুত হয় তিন লাখ মানুষ। গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শান্তি স্থাপন নিয়ে দুই দেশ একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করলেও পরিস্থিতির অবনতি ঠেকানো যায়নি। সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় মাইন বিস্ফোরণে থাই সেনারা আহত হওয়ার পর থাইল্যান্ড সেই চুক্তি স্থগিত করে দেয়।


