মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর তা বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রধান খবর হিসেবে প্রচারিত হচ্ছে। চব্বিশের জুলাই-আগস্টে গণহত্যার দায়ে সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়। একই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকেও মৃত্যুদণ্ড এবং রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ের খবর প্রকাশে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের ওপর বর্বর দমন-পীড়ন চালানোর দায়ে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি সরাসরি সম্প্রচারে রায় ঘোষণা তুলে ধরে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কাতারভিত্তিক আল জাজিরা শিরোনাম করেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড। মার্কিন সিএনএন জানিয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত নেত্রীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
ভারতের প্রায় সব জাতীয় দৈনিক ও টেলিভিশন চ্যানেলেও এ রায়কে শীর্ষ সংবাদে স্থান দেওয়া হয়েছে। এনডিটিভি লিখেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধেই শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড। ইন্ডিয়া টুডে তুলে ধরেছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একই শাস্তির বিষয়টিও।
তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, পলাতক অবস্থায় শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের দ্য ডন প্রতিবাদ দমনে নিপীড়নের অভিযোগ তুলে রায়টির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছে। এছাড়া শ্রীলঙ্কার ডেইলি মিররসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য সংবাদমাধ্যমও ঘটনাটিকে আঞ্চলিক রাজনীতির বড় মোড় হিসেবে তুলে ধরেছে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। রায়ে তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং দেশে থাকা তার সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
সিএ/এমআরএফ


