বেতন না পাওয়ায় কুয়েতে ‘ক্যাপ টেক’ কোম্পানির ১৩০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক গত মার্চ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করছিলেন। শ্রমিকরা কোম্পানির বিরুদ্ধে ফিন্তাস থানায় লিখিত অভিযোগ করলে কুয়েতের স্থানীয় প্রশাসন শ্রম আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়। দেশটির শ্রম আইনে ধর্মঘট নিষিদ্ধ থাকায় কর্মবিরতিকে আইনি লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য করে শ্রমিকদের আটক করে প্রত্যাবাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন জানান, ইতোমধ্যে কিছু শ্রমিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং বাকিদের বিষয় নিয়মিত নজরদারি চলছে। কোম্পানির মালিক দাবি করেন, তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার শ্রমিকদের বেতন নিয়ে আত্মগোপন করেছে। তিনি এক মাসের বেতন পরিশোধ ও বাকি বেতন কিস্তিতে দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও শ্রমিকরা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, ২০২৪ সালের নভেম্বরে একই কোম্পানির সঙ্গে বেতন সমস্যা দূতাবাসের হস্তক্ষেপে সমাধান হয়েছিল। এবারের ঘটনায় শ্রমিকদের আগেভাগে দূতাবাসকে না জানানোর কারণে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার সাবাহ প্রদেশে কর্মী প্রেরণের নামে প্রতারণা থেকে সাবধান থাকার জন্য সতর্কতা জারি করেছে এবং জনগণকে এই ধরনের চক্র থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে।